সিলেটে শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

সিলেটে রবিবার (৩১ মার্চ) দিবাগত রাতে শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশির ভাগই টিনের তৈরি ঘরবাড়ি। শিলাবৃষ্টিতে ঘরের চাল ফুটো হয়ে যাওয়ায় নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন বহু মানুষ।

সিলেটের জেলা প্রশাসক রাসেল হাসান সোমবার দুপুরে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা করার জন্য। সে অনুসারে কাজ চলছে। এ ছাড়া ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘শিলাবৃষ্টিতে যেসব পরিবার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে বরাদ্দ দেওয়া হবে।’ 

জানা যায়, সিলেট সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের সবকটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩নং খাদিমনগর ইউনিয়ন ও ৪নং খাদিমপাড়া ইউনিয়ন। এই ইউনিয়ন দুটির ভৌগোলিক অবস্থান পাশাপাশি হওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। বাকি ইউনিয়নগুলোর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এই দুটি ইউনিয়নের চেয়ে কিছুটা কম। শিলাবৃষ্টির কারণে সিলেট সদর, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, জাফলং, গোয়াইনঘাট, গোলাপগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৫ শতাধিক ঘরবাড়িতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছরীন আক্তার বলেন, ‘আমার উপজেলাসহ সিলেটজুড়ে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এই শিলাবৃষ্টিতে আমার উপজেলায় টিনের তৈরি ঘরবাড়ি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব দিয়েছি। তালিকা হাতে পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই করে সরকারি সহায়তা বিতরণ করা হবে।’

খাদিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দিলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শতকরা ১০০টি টিনের ঘরের মধ্যে ৯০টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ। যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।’