চোখের জলে পাইলট জাওয়াদকে বিদায়

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের মরদেহ মানিকগঞ্জে নিজ শহরে দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে তার মরদেহ হেলিকপ্টারে মানিকগঞ্জ পৌঁছে। জুমার নামাজ শেষে শহরের সেওতা কবরস্থানে নানার কবরে তাকে সমাহিত করা হয়।

জাওয়াদের মরদেহ বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি হেলিকপ্টার মানিকগঞ্জ শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে অবতরণ করে। তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বহু মানুষ জড়ো হন শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়াম মাঠে। তারা একনজর দেখতে এসে কেঁদেছেন অঝোরে। একমাত্র সন্তানহারা মায়ের আহাজারিতে মানিকগঞ্জ স্টেডিয়াম এলাকায় এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

ওই হেলিকপ্টারে ছিলেন স্ত্রী রিফাত অন্তরা, ছয় বছরের মেয়ে আইজা আর এক বছরের কম বয়সী ছেলে আয়াসসহ পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য। স্ত্রী-সন্তানসহ জাওয়াদ থাকতেন কর্মস্থল চট্টগ্রামের পতেঙ্গায়।

সর্বশেষ গত রমজানের ঈদে বামা-মায়ের সঙ্গে ঈদ করতে জাওয়াদ সপরিবারে মানিকগঞ্জ এসেছিলেন। শুক্রবার এলো তার নিথর দেহ।

জানা গেছে, বিমান বাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের পাইলট ও কো-পাইলট প্যারাসুট দিয়ে নেমে এলে তাদের পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসিম জাওয়াদ মারা যান।

এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিমান বাহিনীর ওয়াইএকে ১৩০ নামে যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়নকালে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ সময় বিমানটির পেছন দিকে আগুন লেগে যায় এবং চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের অদূরে কর্ণফুলী নদীতে আছড়ে পড়ে।

আরও খবর:

দুর্ঘটনায় পাইলট জাওয়াদের মৃত্যু, মানিকগঞ্জের বাড়িতে মায়ের আর্তনাদ

চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় আহত পাইলটের মৃত্যু