কক্সবাজারে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি

কক্সবাজারে বিধ্বস্ত বিমানকক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরের নাজিরারটেক পয়েন্টে একটি বেসরকারি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন আশরাফ এই কমিটির নেতৃত্বে দিচ্ছেন।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সাধন কুমার মোহন্ত জানান, রাতেই ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি কক্সবাজারে এসে পৌঁছেছে। তদন্ত কমিটি সকালেই দুর্ঘটনাস্থল নাজিরারটেকে গিয়ে বিধ্বস্ত বিমানের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আবদুল মজিদ জানান, গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যায় দুর্ঘটনা কবলিত বিধ্বস্ত বিমানটি নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সাগর উপকূলে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়। যেহেতু বেসরকারি বিমান তাই তাদের লোকজনের কাছে রাতেই হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে বিধ্বস্ত বিমানের মূল্যবান কিছু যন্ত্রাংশ খুলে তাদের হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার সোলতান আহমেদ সিরাজী জানান, লাশের ময়নাতদন্ত এখনও শেষ হয়নি। লাশগুলো এখনও মর্গে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ট্রু-অ্যাভিয়েশন নামে একটি চিংড়ি পোনাবাহী কার্গো বিমান কক্সবাজার বিমানবন্দর ছেড়ে যশোরের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। কিন্তু, উড্ডয়নের ৫ মিনিটের মাথায় বিমানটি রাডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং পার্শ্ববর্তী বঙ্গোপসাগরের নাজিরারটেক-সোনাদিয়া চ্যানেলে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। দুপুর ১২টার দিকে বিধ্বস্ত বিমান থেকে নিহত ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার কুলিশ নোলরী (৪০) এবং আহতবস্থায় পাইলট গাটারভ ওয়াদ (৪৭) কে উদ্ধার করে। পরে বিকাল ৪টার দিকে বিমানের নেভিগেটর কালটুরভ (৪৫), কো-পাইলট জুলুডিমির (৩৮) এর লাশ উদ্ধার করা হয়। তারা চারজনই ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ইউক্রেনের নাগরিক।

/এআর/এফএস/জেবি/টিএন/এমএনএইচ/