ভোলায় ১ লাখ ২১ হাজার কিশোরীকে দেওয়া হবে জরায়ু ক্যানসার টিকা

জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে ভোলায় এক লাখ ২১ হাজার ৫৮০ জন কিশোরীকে প্রথমবারের মতো বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে। এ কর্মসূচিতে সহযোগিতা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

জাতীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সোমবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এই তথ্য জানান ভোলার সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে নারীরা স্তন ক্যানসারের পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত হচ্ছে জরায়ুমুখ ক্যানসারে। তাই এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিন, জরায়ুমুখে ক্যানসার রুখে দিন।’

বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী এবং ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূতসহ মোট এক লাখ ২১ হাজার ৫৮০ কিশোরীকে বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা প্রদান করা হবে।

ভোলার সাত উপজেলায় ৫২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক লাখ ১৬ হাজার ৬১৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ১৮ কর্ম দিবসে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তার মধ্যে প্রথম ১০ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থায়ী কেন্দ্রে এবং পরবর্তী আট কর্ম দিবসে নিয়মিত ইপিআই স্থায়ী এবং অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। এই ক্যাম্পেইন থেকে টিকা পেতে ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে। এছাড়াও নিবন্ধনে ব্যর্থ শিক্ষার্থীরা জন্মনিবন্ধনের সনদ নিয়ে টিকা কেন্দ্রে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে টিকা নিতে পারবে।

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন– বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মেডিক্যাল অফিসার ডা. মোহাম্মদ খৈয়াম ফারুকী, ভোলা প্রেসক্লাব আহ্বায়ক ও দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিনিধি আহাদ চৌধুরী তুহিন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।