সাতক্ষীরার জাকির শোল মাছ চাষ করে সফল

মাত্র পাঁচ কাঠা আয়তনের একটি পুকুরে দেশি জাতের শোল মাছের চাষ করেছেন তিনি। কম খরচে অল্প দিনেই তিনি প্রায় পাঁচ মন মাছ পেয়েছেন। দেশি জাতের মাছ যেখানে হারিয়ে যেতে বসেছে সেখানে শহরের পুরাতন সাতক্ষীরার জাকির হোসেন শোল মাছ  চাষ করে সবার নজর কেড়ে নিয়েছেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর জাকির হোসেন মাস কয়েক আগে ভাসমান অবস্থায় কুড়িয়ে পেয়েছিলেন এক জোড়া শোল মাছ। এরপর মাছ দুটিকে সযতনে নিজের পুকুরে লালন করতে থাকেন।

জাকিরের পুকুরের শোল মাছ

গত বছরের ১০ আগস্ট ডিম ছাড়ে মা মাছটি। এরপর ডিম ফুটে বেরোয় পোনা। পোনায় তার পুকুর যায় ভরে। ক্রমে পোনা পরিণত হয় সুপুষ্ট মাছে। এখন এক একটি শোল মাছের ভর হয়েছে কম হলেও ৮০০ গ্রাম। বছর পেরোতেই তা এক কেজি পেরিয়ে যাবে বলে মনে করেন জাকির হোসেন।

জাকির জানান, পুকুরে কোনও সার দেননি তিনি। চুন কিংবা কোনও রাসায়নিক খাবারও নয়। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে মাছগুলি বেড়ে উঠেছে। বাজারের ছোট মাছই এর প্রধান খাদ্য।

জাকির বলেন, রাক্ষুসে মাছ হিসাবে সবাই এড়িয়ে চলেন  শোল মাছকে। মানুষ যাকে পুকুরের অন্যান্য মাছের জন্য  শত্রু মনে করেন, আমি তাকে বন্ধু বলে মেনেছি। এর নার্সিং  কিংবা একটু বড় হলেই পোনা  লালনের দায়িত্ব মা মাছটির। বাড়তি কোনও পরিশ্রম নেই।

জাকির তার বাড়িতে গড়ে তুলেছেন গুড়পুকরের রিসার্চ ইনস্টিটিউিট। এর অধীনেই পুকুরে শোল মাছের চাষ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। পুরনো জোড়া শোলের ওজন এখন দুই কেজি ছাড়িয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, পাশেই নতুন আরও একটি পুকুর খনন করেছি। সেখানে এই পুরুষ ও মা মাছটিকে ছেড়ে দেব।

জাকির হোসেন তার পুকুরের মাছ প্রথম দফায় তুলেছেন। জেলা মৎস্য অফিসার এমএ ওয়াদুদ , উপজেলা মৎস্য অফিসার লুৎফর রহমানসহ উপস্থিত ছিলেন অনেকেই। তারা বলেন, ‘জাকির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি একটি রেকর্ড গড়লেন। আমরা তাকে পুরষ্কৃত করতে চাই।’

মৎস্য বিভাগ তাকে সব রকম সহায়তা দেবে বলেও জানান তারা।

/এইচকে/