বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে এবং শীতের হিমেল হাওয়া এড়িয়ে সমুদ্রের উষ্ণতার খোঁজে কক্সবাজারে ভিড় করছেন বিপুলসংখ্যক পর্যটক। থার্টিফার্স্ট নাইটকে ঘিরে সমুদ্রসৈকতে যেন মানুষের জোয়ার। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছে মানুষ। সৈকত ছাড়াও বিভিন্ন পর্যটন স্পট পর্যটকদের পথচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। এতে খুশি পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এদিকে, পর্যটকদের স্বাগত জানাতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
২০২৪ সালকে বিদায় আর ২০২৫ সালকে স্বাগত জানাতে কক্সবাজারে এখন মানুষ আর মানুষ। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ছুটি। সব মিলিয়ে পর্যটকে ভরপুর এখন কক্সবাজার। সব বয়সের মানুষের পদচারণায় সৈকত পরিণত হয়েছে মিলনমেলায়। সৈকতে এসে আগত পর্যটকরা জানালেন, তাদের ভালোলাগার কথা।
একই কথা জানালেন রাজশাহী থেকে আসা পারভেজ আলম। তিনি বলেন, ‘আজ রাত ১২টা ১ মিনিটে আতশবাজি ফুটিয়ে থার্টিফার্স্ট নাইট পালন করবো। এই দিনটার জন্য প্রতি বছর অপেক্ষা করে থাকি। আজকে সপরিবারে দিনটি পালন করবো।’
পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবারও কক্সবাজারে থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনে থাকছে না কোনও ওপেন কনসার্ট। বিভিন্ন তারকামানের হোটেলে গেস্টের জন্য ইন্ডোরে রয়েছে নানা আয়োজন। দেশের একমাত্র ফিস অ্যাকুরিয়াম ‘রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড’ সেজেছে নতুন আঙ্গিকে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিপুল পরিমাণ পর্যটক আগমনে খুশি তারা।
কক্সবাজার রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুর রহমান বলেন, ‘আজ অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে। এজন্য অনেক ভালো লাগছে।’
এদিকে, পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ছাড়াও বিভিন্ন পর্যটন স্পটে মোতায়েন করা হয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বিপুল পরিমাণ পর্যটক এখন কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন। তাদের নিরাপত্তায় পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোথাও যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশ সজাগ রয়েছে।’
দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের মাধ্যমে নতুন বছরে সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।