চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, ম্যাগনোলিয়া, শিউলি, হাসনাহেনা, অপরাজিতা, টিউলিপ, উইস্টেরিয়াসহ ১৩৬ প্রজাতির দেশি-বিদেশি দুই লাখের বেশি ফুলে সেজেছে চট্টগ্রাম ডিসি পার্ক। এ পার্কে শনিবার (৪ জানুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে তৃতীয় বারের মতো মাসব্যাপী ফুল উৎসব। এ উৎসব চলবে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
এ পার্ক দর্শনার্থীদের জন্য সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। জনপ্রিয় প্রবেশ টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা।
ফুল উৎসবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমশনিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ এই ফুল উৎসবের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন– স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন ও জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটের দক্ষিণ পাশে ডিসি পার্কে তৃতীয়বারের মতো এ ফুল উৎসব শুরু হয়েছে। ডিসি পার্কটি ১৯৪ একর জায়গায় প্রতিষ্ঠিত।
জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, ‘ডিসি পার্কে মাসব্যাপী ফুল উৎসব শুরু হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও ১৩৬ প্রজাতির দেশি-বিদেশি ফুল দিয়ে এ উৎসবকে সাজানো হয়েছে। সুস্থ পরিবেশে মানুষ যাতে বিনোদন উপভোগ করতে পারেন সেজন্য আমরা ডিসি পার্ককে নির্বাচিত করেছি। প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে কোলাহলমুক্ত পরিবেশে মানুষ যাতে কিছুটা একান্তে সময় কাটাতে পারে তাই এ ফুল উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।’
শুরু হয়েছে তৃতীয় বারের মতো মাসব্যাপী ফুল উৎসবতিনি আরও বলেন, ‘এবারের ফুল উৎসবে বেশকিছু নতুনত্ব রয়েছে। ভাসমান ফুল বাগান থেকে শুরু করে ১২টি দোকানে গ্রামীণ মেলা বসেছে, যা আগে ছিল না। গত বছর কালচারাল প্রোগ্রাম ১৫ দিন হলেও এবার সেটা বাড়িয়ে ৩০ দিন করা হয়েছে। বিশেষ আর্কষণ হিসেবে বই উৎসব, পিঠা উৎসব, ঘুড়ি উৎসবসহ আরও নানা ধরনের উৎসব আছে। শিশুদের জন্য আলাদা কিড্স জোন তৈরি করা হয়েছে এবং কেউ ফুলের চারা কিনতে চাইলে তাদের জন্য দুটি নার্সারির স্টল করা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম শহর থেকে মেলায় আগতদের উৎসবে আসা-যাওয়ার সুবিধার্থে শাটল বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এটি টাইগার পাস থেকে পতেঙ্গা হয়ে ডিসি পার্কে দর্শনার্থীদের নিয়ে আসবে আবার একই রুট হয়ে গাড়ি টাইগার পাস ফিরে যাবে।
এ উৎসব চলবে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত১৯৪ একর এলাকাজুড়ে গড়ে ওঠা ডিসি পার্কে রয়েছে তিনটি বিশাল আয়তনের পুকুর। আরও রয়েছে ফুডকোর্ট, পর্যটকদের বসার স্থান, সেলফি কর্নার, অনুষ্ঠানস্থল, ভাসমান ফুল বাগান, হাঁটাচলার উন্মুক্ত স্থান, অস্থায়ী খেলার মাঠ, স্থায়ী ফুলের বাগান, শিশুদের খেলার মাঠ, ভিআইপি জোন, কন্ট্রোল রুম, রেস্টুরেন্ট, ফুড কর্নার, সানসেট ভিউ পয়েন্ট, টিউলিপ গার্ডেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান কর্নার।