খুলনার দিঘলিয়ায় ভৈরব নদের তীরে নগরঘাট এলাকায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার পৈত্রিক জমিতে থাকা স্থাপনা ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে এ ভাঙচুর হয়। ২০২৩ সালের ৬ জানুয়ারি বিকালে শেখ হাসিনা সর্বশেষ এ জমি পরিদর্শন করেছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী জহিরুল তানভীর বলেন, ‘দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকে স্থানীয় ছাত্র-জনতা দিঘলিয়ায় শেখ হাসিনার পৈত্রিক জমির স্থাপনা ভাঙচুর করেছে।’
দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এইচ এম শাহিন বলেন, ‘এ ধরনের ভাঙচুর হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু কেউ তার কাছে কোনও অভিযোগ করেননি।’
উল্লেখ্য, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় চার বিঘা জমি রয়েছে। পাকিস্তান আমলে কেনা সেই সম্পত্তিতে আছে গুদাম, যা এখন ‘শেখ হাসিনার গোডাউন’ নামে পরিচিতি পেয়েছে। দিঘলিয়ায় এই চার বিঘা জমির কথা শেখ হাসিনা নিজেও জানতেন না। ২০০৭ সালে তার ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে ওই জমির কথা জানতে পারেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবদ্দশায় পাটের গুদাম ও এক কক্ষের আধাপাকা ঘর ছিল সেই জমিতে। এই পাট গুদাম দেখাশোনা করতেন তার ছোট ভাই শেখ আবু নাসের। জমি দেখাশোনার পাশাপাশি শেখ আবু নাসের এক সময় এখানেই ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পর শেখ হাসিনা সেই সম্পত্তির মালিকানা পান।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে শেখ আবু বকর পরিবার নিয়ে প্রায় ২০ বছর সেই জমিতে বসবাস ও দেখাশোনার কাজ করছিলেন। বর্তমানে জাহিদুল ইসলাম এক ব্যক্তি এই সম্পত্তি দেখাশোনা করছেন। তিনি এক যুগের বেশি সময় আগে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের মাধ্যমে এই দায়িত্ব পান। পুরনো সেই গুদামঘর ভেঙে নতুন আধুনিক গুদাম ঘর এবং নদের তীরে রেস্ট-হাউজ করা হয়।