কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের নামে একটি স্মৃতিফলক উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মেরুন ড্রাইভের টেকনাফ শামলাপুর এলাকায় এই স্মৃতিফলকের উদ্বোধনের করা হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করে আইএসপিআর।
এ সময় মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম, এনডিইউ, পিএসসি, পিএইচডি, জিওসি, ১০ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার কক্সবাজার এরিয়া, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, ওএসপি, বিএসপি, এসইউপি, বিজিবিএম, এনডিসি, পিএসসি, এমফিল, মহাপরিচালক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, মেজর সিনহার মা ও বোন, সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। হত্যাকাণ্ডের ৪ দিন পর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজারের তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ মামলার রায় দেন। রায়ে ১৫ আসামির মধ্যে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। ছয় জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।