বরগুনায় ধর্ষণ ও হত্যার শিকার পরিবারটির পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

বরগুনায় ধর্ষণের শিকার হয় এক কিশোরী এবং হত্যার শিকার হন তার বাবা। ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রবিবার (১৬ মার্চ) বিকালে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমানের নেতৃত্বে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ওই বাড়িতে এসে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষে বিশেষ অনুদানের সামগ্রী তুলে দেন।

জানা গেছে, এ বিশেষ অনুদানে চাল, ডাল, তেল, আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং নিহতের পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় কাপড়চোপড় ভুক্তভোগী পরিবারকে দেওয়া হয়। ইফতারের পরে ফোনে নিহতের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তারেক রহমান। এ সময় তিনি নিহতের পরিবারের খোঁজখবর নেন।

নিহতের স্ত্রীকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে যেটি হয়েছে তা বাংলাদেশের সব মানুষ জেনেছে ও শুনেছে। আপনাদের পরিবারের পাশে আমাদের দল (বিএনপি) থাকবে। যতটুকু সম্ভব আপনারা যাতে ন্যায়বিচার পান আমরা তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের যদি আরও কোনও সহযোগিতার প্রয়োজন হয়, তাহলে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানকে জানাবেন, আমরা যতটুকু পারি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। আপনি ঘাবড়াবেন না, দেশের মানুষ আপনার পাশে আছে, বিএনপি আপনার পাশে আছে।’

এ সময় ওই পরিবারকে নিরাপত্তাসহ ন্যায়বিচার পেতে সর্বোচ্চ আইনি সহয়তা প্রদানের আশ্বাস দেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আমান বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ওই ব্যক্তিকে হত্যা ও তার মেয়েকে ধর্ষণের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখতে পেয়েই আমাকে কল করে পরিবারের খোঁজখবর নিতে এবং সহযোগিতা করার কথা বলেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশেই আমরা আজ ওই বাড়িতে গিয়েছি।’

উল্লেখ্য, স্থানীয় এলাকাবাসীর ফোনে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে বসতঘরের পেছন থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার সকাল থেকেই ওই ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু এবং তার মেয়েকে ধর্ষণের বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে স্থানীয় ছিদাম, বিপুল ও রফিক নামে তিন জনকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। কালু নামে একজনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। আদালত গ্রেফতার হওয়া তিন জনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।