ঈদের ছুটিতে ফাঁকা হচ্ছে চট্টগ্রাম নগরী। ফাঁকা নগরীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। সিএমপি তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করেছে।
সিএমপির একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নগরবাসীর নিরাপত্তায় ঈদের ছুটিতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়াও নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে থাকবে চেকপোস্ট। সেখানে সন্দেহজনকদের তল্লাশি করা হবে। পাশাপাশি পুলিশের টহল টিমও নগরজুড়ে দায়িত্ব পালন করবে।
এ ছাড়া নগরীর নিরাপত্তায় সিএমপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা ও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সিএমপির অতিরিক্তি উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) মাহমুদা বেগম জানান, ঈদের ছুটিতে নগরীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এবার যৌথবাহিনীও মাঠে রয়েছে।'
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চট্টগ্রাম শহরের বাসিন্দারা অনেকে বাসা-বাড়ি ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ করে গ্রামের বাড়িতে যাবেন। বাসা-বাড়ি ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান নিরাপত্তার জন্য নগরবাসীকে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সিএমপি পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
বাসা-বাড়ির দরজায় অধিক নিরাপত্তাসম্পন্ন অতিরিক্ত লক বা তালার ব্যবহার করা; নগদ টাকা বা স্বর্ণালংকার ফাঁকা বাসায় রেখে না যাওয়া; প্রতিরোধমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যেমন– সিসিটিভি ক্যামেরা, অ্যালার্ম সিস্টেম ইত্যাদি; আবাসিক এলাকায় রাতে অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা; নতুন নিয়োগকৃত নিরাপত্তাকর্মীদের এনআইডি কার্ড ও ছবি সংরক্ষণ করা; সন্দেহজনক কোনও ব্যক্তি ঘোরাফেরা করলে তাৎক্ষণিক স্থানীয় থানাকে অবহিত করা এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি সংক্রান্ত কোনও ঘটনা ঘটলে দ্রুত জরুরি সেবা-৯৯৯ অথবা সিএমপি স্পেশাল কন্ট্রোল হটলাইন ০১৩২০-০৫৭৯৯৮ ও ০১৩২০-০৫৪৩৮৪-এ অবহিত করা।
এ ছাড়াও ঈদের ছুটিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভল্টের নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে– ব্যাংক বা কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অধিকতর জোরদার করা। ব্যাংকের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা যাতে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সে বিষয়টি তদারক করা। নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরিংয়ের জন্য স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন অফিসারকে পালাক্রমে নিযুক্ত করা। ব্যাংকের ভল্টের চারপাশে সিসি টিভি ক্যামেরার কাভারেজ নিশ্চিত করা এবং সন্দেহজনক কোনও বিষয় নজরে এলে তা নিকটস্থ পুলিশকে অবহিত করা। ব্যাংকের সিসি টিভি ক্যামেরাগুলো ভালোভাবে কাজ করছে কিনা তা নিশ্চিত করা। প্রয়োজনে নিকটতম থানা পুলিশের সহায়তা গ্রহণ করা।