প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদুল ফিতরে স্বস্তির সময় কাটিয়ে এখনও কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব শহরে কর্মব্যস্ত মানুষ ফিরতে শুরু করেছেন। তবে রবিবার যাত্রীদের ভিড় ছিল কিছুটা কম। শনিবার সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌপথের দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাট প্রান্তে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
সরেজমিন রবিবার দুপুর ১২টা থেকে দুপুর পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাটে অবস্থান করে দেখা যায়, ঘাটের জিরো পয়েন্টে কোনও যানবাহনের সিরিয়াল নেই৷ ঘাটে যানবাহন এসে সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারছে। এদিকে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা লোকাল বাসের যাত্রীরা ফেরি ও লঞ্চে নদী পার হচ্ছে। তবে কোথাও যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়নি।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দৌলতদিয়ায় সাতটির মধ্যে ৩, ৪ ও ৭ নম্বর ফেরিঘাট এবং একটি লঞ্চঘাট সচল রয়েছে।
শনিবার সকাল ৬টা থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া দিয়ে ৬৬৬টি বাস, ৩৬০টি ট্রাক, ১৮৩৯টি ছোট গাড়ি ও ৩০৮১টি মোটরসাইকেলসহ মোট ৫৯৪৬টি যানবাহন নদী পাড়ি দিয়েছে।
রাজবাড়ী থেকে ঢাকাগামী যাত্রী খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করি। ঈদে ছুটিতে বাড়িতে গিয়েছিলাম। গত শনিবার আমার ছুটি শেষ হয়েছে। অফিস থেকে বাড়তি আরেকদিন ছুটি নিয়েছিলাম। সোমবার অফিস করবো বলে আজ পরিবার নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি। পথে ও ঘাটে কোনও সমস্যা হয়নি, ঘাট একদম ফাঁকা।’
মেহেরপুর থেকে আসা গাজীপুরগামী যাত্রী রেজাউল হোসেন বলেন, ‘আমার গাজীপুরে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। ভিড় এড়াতে আজ পরিবার নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি। তবে ঈদের আগে ও পরে এবারের ঈদযাত্রায় কোনও ভোগান্তি হয়নি।’
বিআইডব্লিউটিএ দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় ১৭টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে চলাচল করছে। বর্তমানে ঘাটে কোনও যানবাহনের সিরিয়াল নেই। ঘাটে আসামাত্রই যেকোনও যানবাহন সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারছে।’