ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তপথে ভারতে গেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শনিবার দুপুরে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তিনি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় প্রবেশ করেন।
এর আগে সন্তু লারমা সড়কপথে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি থেকে আখাউড়ায় আসেন।
একটি চিঠি সূত্র ও সন্তু লারমা সফরসঙ্গী সূত্রে জানা গেছে, প্রথমবারের মতো এ পথে তিনি ভারত যাচ্ছেন। সেখানে তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা ছাড়াও মাতৃ-পিতৃ তর্পণ ও ধর্মীয় আচারাদি সম্পাদন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ারও কথা রয়েছে তার।
এ সময় সন্তু লারমাকে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, ‘একবার আসুন, রাঙামাটি ঘুরে দেখে যান, তবেই বুঝবেন।’ এর বেশি কিছু বলতে আগ্রহ দেখাননি সন্তু লারমা।
এ পথেই সন্তু লারমা দেশে ফিরবেন বলে তার ব্যক্তিগত সহকারী শ্যামল লারমা নিশ্চিত করেছেন। তবে কখন আসবেন তা জানাতে পারেননি তিনি।
আখাউড়া স্থলবন্দরে দুই দেশের সীমান্তের শূন্যরেখায় সন্তু লারমাকে স্বাগত জানান, আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) শাহীনুর ইসলাম, ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ সোহেল মাহমুদ ও আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার মোখলেছুর রহমান।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকায় বাংলাদেশ সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) জনসংহতি সমিতির সভাপতি হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম অধিবাসীদের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
এ ছাড়াও তিনি ১৯৯৯ সালে ১২ মে থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।