যশোরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

‘ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো এখন বিনোদনের মাধ্যমে পরিণত হয়েছে’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম বলেছেন, ‘ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো এখন বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে পরিণত হয়েছে। সেখানে কোনও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা নেই। জোরে কথা বলা, নাটক তৈরি করাই তাদের কাজ। এখন দেখার বিষয় তাদের রেসপন্সিবল মিডিয়াগুলো আসলে কতটা ভালো জার্নালিজম করছে।’

তিনি শনিবার (১০ মে) বিকালে যশোরের কেশবপুর উপজেলার পাথরা পল্লী উন্নয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আগে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে একথা বলেন।

ভারতে বাংলাদেশি গণমাধ্যম বন্ধের পর বাংলাদেশের পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে প্রেস সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশে ফ্যাসিস্টের পতনে তাদের (ভারতের) মাথা খারাপ হয়ে গেছে। সে কারণে তারা আমাদের কয়েকটি মিডিয়ার সম্প্রচার সে দেশে বন্ধ করেছে। আমরা তা করতে চাই না।

‘আমরা অনেক দিন ধরে লক্ষ করছি, তারা যা তা নিউজ করে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের যে মিডিয়াগুলো বন্ধ করা হয়েছে, তারা অনেক ভালো নিউজ করে। এটি দুর্ভাগ্যজনক।’

সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ফ্যাসিস্ট ছিলেন। তার দেশত্যাগের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে একটা স্টেটমেন্ট দেওয়া হয়েছে। তার দেশত্যাগের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্টেটমেন্টের বাইরে আমার কিছু বলার নেই।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক, বাসসের বিশেষ প্রতিনিধি ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র এসএম রাশিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন– যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহান, যশোর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব মো. শফিকুল আলমসহ অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে তাদের লাল গালিচা সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের ফুল ছিটিয়ে অভ্যর্থনা জানায়।

পুনর্মিলনীকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় উৎসবের আবহ বিরাজ করছে। অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দূর-দূরান্ত থেকে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এলাকায় এসেছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রাক্তনীরা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। ছিলেন বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। এলাকার সাধারণ মানুষও এই উৎসবে শামিল হন।