পেট থেকে ১৯টি টুথব্রাশ বের করার পর সুস্থ আছেন শামীম

mymensingh pic-25.03.16

ময়মনসিংহের একটি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচার করে শামীম নামে এক যুবকের পেট থেকে আস্ত ১৯টি টুথব্রাশ বের করার পর তিনি এখন সুস্থ আছেন। শামীমের পেট থেকে অস্ত্রোপচার করে শুধু টুথব্রাশই নয়,এর সঙ্গে ছিল চারটি মেসওয়াক,একটি ভাঙা কাঁটা চামচ,দুটি প্লাষ্টিকের টুকরো ও এক টুকরো কাপড়।

গত শুক্রবার ময়মনসিংহ শহরের একটি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচার করে শামীম (৩৩) নামের এক যুবকের পেট থেকে এসব জিনিস বের করা হয়। শামীমের বাবার নাম সিরাজ উদ্দিন। তিনি একজন ঠিকাদার। বাড়ি শহরতলীর দিঘারকান্দা মাসকান্দা এলাকায়। চিকিৎসকদের ধারণা, মানসিক ভারসাম্যহীন শামীম এগুলো বিভিন্ন সময় খেয়েছিল। অস্ত্রোপচারের পর সে সুস্থ আছে বলে বৃহস্পতিবার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শামীম পেটে তীব্র ব্যথা হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরে পেটে এক্স-রে করে একটি কাঁটাচামচসহ তিনটি ধাতব টুকরো রয়েছে নিশ্চিত হওয়ার পর চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। হাসপাতালে অপারেশনের তারিখ ঠিক হওয়ার পর শামীম হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পরে আবার প্রচণ্ড ব্যথা হলে শহরের চরপাড়া এলাকার ইসলামিয়া জেনারেল হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে শুক্রবার রাতে এক ঘণ্টা ধরে তার অস্ত্রোপচার করা হয়।

অস্ত্রোপচার টিমে ছিলেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি) ডা. মো. শফিকুল ইসলাম ও অ্যানেস্থেসিয়ার দায়িত্বে ছিলেন কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাসুদ হাসান সজিব।

সার্জারি ডা. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন,পেটে থাকা টুথব্রাশগুলো আস্ত ছিল দেখে আমরা বিস্মিত হয়েছি। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ রকম ঘটনার নজির পাওয়া যায় না। শামীম দিনের পর দিন এগুলো খেয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শামীম এখন সম্পূর্ণ আশঙ্কামুক্ত জানিয়ে অপর চিকিৎসক ডা. মাসুদ হাসান সজিব জানান, হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার পর তার পরিবারের সদস্যদের উচিত হবে দ্রুত  তার মানসিক চিকিৎসা শুরু করা।

শামীমের মা সেলিনা আক্তার বলেন,শামীম এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করা পর এবং বাবার কড়া শাসন আর অনাদরের কারণে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবনের কারণে সে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে গেছে। তাকে কয়েকবার মাদক নিরাময় কেন্দ্রেও ভর্তি করা হয়েছিল।

/জেবি/