তিস্তার নিচু চর প্লাবিত, আগামী পাঁচ দিন বাড়তে পারে কুড়িগ্রামের প্রধান নদ-নদীর পানি

উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে এই নদীর নিচু চরগুলো প্লাবিত হয়ে পেঁয়াজ, বাদাম ও কাউনের আবাদ তলিয়ে যাওযার খবর পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কমপক্ষে অর্ধশত কৃষক।

এদিকে, উজানের ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে আগামী পাঁচ দিন কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বাড়তে পারে। তবে এসব নদীর পানির সমতল বিপদসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা না থাকায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম। রবিবার (১৮ মে) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান।

রবিবার বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী চার দিন রংপুর, সিলেট এবং তৎসংলগ্ন উজানে (মেঘালয়, আসাম) ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে। আগামী পাঁচ দিন ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। তবে এ সময় এই অঞ্চলের কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম।

তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার রাজারহাটের বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের চরগুলোতে কৃষকদের বাদাম, পেঁয়াজ ও কাউনের ক্ষেত ডুবে গেছে। এসব এলাকায় কৃষি প্রকল্প করা প্রায় অর্ধশত কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও কৃষক মিলন বলেন, ‘তিন-চার দিন ধরে পানি বাড়ছে। ফলে ইউনিয়নে তিস্তার নিচু চরে বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত ডুবে গেছে। এসব ফসলের মধ্যে পেঁয়াজ ও বাদাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এসব ফসলের  প্রজেক্ট করা ৪০-৫০ জন কৃষক দারুণ লোকসানের শিকার হয়েছেন। পানি বাড়লে আরও অনেক কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।’

পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও দুধকুমারে পানি বাড়তে পারে। এর ফলে ধরলাতেও পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে কোনও নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি যাওয়ার পূর্বাভাস নেই। ফলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি কিংবা নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা কম।’