নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে শনিবার (৬ জুন) বিকালে ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে যায়। সোমবার বিকালে নিখোঁজ যাত্রী পুলিশ সদস্য নায়েক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের মরদেহ মেঘনার তীর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত তিন দিনে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার হলো।
জানা গেছে, সোমবার বিকালে হাতিয়ার চান্দনি ইউনিয়নের দরবেশ বাজারের দক্ষিণে মেঘনা নদীর পাড়ে ভাসমান অবস্থায় ওই পুলিশ সদস্যের মরদেহ স্থানীয়রা দেখতে পান। তারা কোস্টগার্ডকে জানালে কোস্টগার্ড সদস্যরা নিহত ব্যক্তি নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইনসে কর্মরত নায়েক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলে শনাক্ত করেন। সাইফুল ইসলামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল ফারুক সাইফুল ইসলামের লাশ উদ্ধারের ঘটনা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনও দুই ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।
এর আগে ঘটনার দিন এক ডাক বিভাগ কর্মীর মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে কোস্টগার্ড সদস্যরা উদ্ধার করেন। পরে নিখোঁজ রোহিঙ্গা নারী হাসিনা আক্তারের মরদেহ রবিবার লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার নদীর তীর থেকে উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, শনিবার (৩১ মে) হাতিয়ার ভাষানচর থেকে হরণি ইউনিয়নের করিম বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে দুপুর ২টায় একটি ট্রলার যাত্রা শুরু করে। করিম বাজার ঘাট থেকে এক কিলোমিটার দূরে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে পৌঁছালে বৈরী আবহাওয়া এবং মেঘনার উত্তাল ঢেউয়ের কবলে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত তিন জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও দুজন নিখোঁজ রয়েছেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কোস্টগার্ড সদস্য এসআই বাতেন জানান, এখনও কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও স্থানীয় জেলেরা ঘটনাস্থলে উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছেন।