বান্দরবানের পাহাড়ের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভিড়

ঈদের তৃতীয় দিনে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্রগুলো। জেলার সবগুলো দশর্নীয় স্থানে এখন পর্যটকদের ভিড়।

সরেজ‌মিন দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে অবকাশ যাপনে পর্যটকরা এখন ভিড় করছেন বান্দরবানের দর্শনীয় স্থানগুলোতে। মেঘলা, নীলাচল, চিম্বুক, তমা তুঙ্গী, নীলগিরি, শৈলপ্রপাত, দেবতাকুম, নাফাকুম, রেমাক্রীসহ সব পর্যটনকেন্দ্রে এখন পর্যটকের ভিড়। সকাল থেকে পর্যটকরা চাঁদের গাড়িতে করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে। কেউবা ছুটে যাচ্ছেন ঝরনার পানিতে গা ভেজাতে। আবার কেউ যাচ্ছেন পাহাড়ের চূড়ায় মেঘ ধরতে, কেউবা যাচ্ছেন পাহাড়ি পল্লিগুলোতে বসবাসকারীদের জীবনধারা উপভোগ করতে। মনোমুগ্ধকর দৃশ্য স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখতে কেউ কেউ চলন্ত মেঘের সঙ্গে, কেউবা ঝরনার পানির সঙ্গে নিজেকে ক্যামেরাবন্দি করছেন।

জেলার সবগুলো দশর্নীয় স্থানে এখন পর্যটকদের ভিড়বেড়াতে আসা ইয়াছ‌মিন পারভীন বলেন, ‘বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুবই ভালো লাগছে। বান্দরবান আসলেই অনেক সুন্দর। সব‌কিছুই নজর কাড়ে। বান্দরবানে আরও অনেক সুন্দর জায়গা আছে। সেগুলোর উন্নয়নেও সরকারকে এগিয়ে আসা উচিত।’

বান্দরবানে যাতায়াত ও আবাসন ব্যবস্থা ভালো বলে মনে করেন পর্যটক রোহান ও রা‌ব্বি। তারা বলেন, ‘নগরজীবন ছেড়ে ছুটিতে বেড়াতে এসেছি। বান্দরবান আরও সুন্দর ও সম্মৃদ্ধ হোক। এখানে আরও সুন্দর সুন্দর পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠুক। আমরা আরও নতুন নতুন পর্যটনকেন্দ্র দেখতে চাই।’

ছুটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকরা যাতে নিরাপদে ঘুরে বেড়াতে পারেন সেজন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানান ট্যুরিস্ট পুলিশ বান্দরবান রি‌জিয়নের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান। তি‌নি বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে পর্যটকরা বান্দরবানে ভিড় জমিয়েছেন। তাদের জন্য জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পর্যটকরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে বেড়াতে পারছেন।’