কুষ্টিয়ার মিরপুরে গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের ক্যানেলে সামাজিক বনায়নের গাছ কাটার অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্থানীয় আমলা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মো. নাসিম রেজা মুকুল। সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে উপজেলার আমলা ইউনিয়নের বুরাপাড়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে নাসিম রেজা মুকুল বলেন, ‘কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের বুরাপাড়া জিকে ক্যানেলের ওপর সামাজিক বনায়নের আওতায় বন বিভাগের কিছু গাছ রয়েছে। সম্প্রতি জিকে ক্যানেল খননের কারণে কয়েকটি গাছ ক্যানেলের মধ্যে হেলে যায়, ভেঙে যায় ও উপড়ে যায়। এ গাছগুলো যাতে বিনষ্ট না হয়ে যায় সে কারণে মিরপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা গাছগুলো গ্রামবাসীর হেফাজতে দিয়ে যান।
‘এ সময় গ্রামের স্থানীয় সাতটি সমাজের প্রধান, শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতা, সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী সদস্যসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। এরপর বন বিভাগের গাছগুলো বন কর্মকর্তার কাছে মসজিদের উন্নয়নের কাজে হস্তান্তরের জন্য অনুরোধ করা হয়, এতে বন কর্মকর্তা অপারগতা প্রকাশ করায় এবং তার পরামর্শক্রমে আমাদের হেফাজত থেকে স্থানীয় শোন্দহ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জের হেফাজতে হস্তান্তর করা হয়। যার প্রমাণ আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে।’
লিখিত বক্তব্যে জামায়াত আরও নেতা বলেন, ‘সাধারণ এই ঘটনাকে রঙ লাগিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য একটি কুচক্রী মহল আমাকে এবং আমার প্রিয় সংগঠনকে জড়িয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একের পর এক সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। এটি কোনোভাবেই আমাদের কাম্য নয়। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই ঘটনার সঙ্গে আমার এবং আমার সংগঠনের ন্যূনতম কোনও অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না এবং নেই। আমি বিষয়টির সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করছি এবং সেই সঙ্গে মানহানিকর এসব সংবাদ অপসারণসহ অপপ্রচারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী সদস্যসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। তারা, দাবি করেন, স্থানীয় জামায়াত নেতা নাসিম রেজা মুকুল সামাজিক বনায়নের গাছ কাটার সঙ্গে কোনোভাবে সম্পৃক্ত নন। তাকে স্থানীয় একটি রাজনৈতিক মহল ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।