বিভাগীয় নগরী রংপুরের অভিজাত এলাকা ধাপে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেনাবাহিনী, স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসন যৌথ অভিযান চালিয়েছে। এ সময় তিনটি বেসরকারি হাসপাতালকে ২ লাখ টাকা করে এবং একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে দেড় লাখ টাকাসহ মোট সাড়ে সাত লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে চারটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
সোমবার দুপুর বেলা ১টা থেকে যৌথবাহিনী নগরীর ধাপ এলাকার উত্তরা জেনারেল হাসপাতাল, স্বপ্ন জেনারেল হাসপাতাল, নিউ রংপুর ক্লিনিক এবং হেলপ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রয়োজনীয় অনুমোদন না থাকাসহ নানা অভিযোগ পাওয়ার পর জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া তিনটি বেসরকারি হাসপাতাল ও একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার তালাবদ্ধ করে বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযানে ছিলেন সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ রংপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যয় হাশেম ও রংপুরের সিভিল সার্জন শিরিন সুলতানা।
অভিযান শেষে লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ সাংবাদিকদের জানান, একটি বেসরকারি ক্লিনিকে একটি শিশু ভুল চিকিৎসায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। এমন খবর পাওয়ার পর তারা ওই ক্লিনিকে যান এবং খোঁজখবর নেন। আজ সোমবার অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়।
রংপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যয় হাশেম বলেন, ‘আমরা তিনটি বেসরকারি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ব্যাপক অনিয়ম পাওয়ায় প্রতেককে ২ লাখ টাকা করে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছি। এ ছাড়া একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অন্যথায় দুই মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।’
রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. শাহিন সুলতানা বলেন, ‘আমরা আজ রংপুর নগরীর ধাপ এলাকায় তিনটি বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়ে ব্যাপক অনিয়ম পেলাম। সেখানে কোনও ডিউটি চিকিৎসক পাওয়া যায়নি। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত নার্সও নেই। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় অনুমতি না থাকাসহ ব্যাপক অনিয়ম ও অসঙ্গতি পেয়েছি।’