বরগুনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মেঝে, করিডর ও সিঁড়ির পাশে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। মশারি টাঙানোর ব্যবস্থা না থাকায় রোগীর সঙ্গে আসা স্বজনরাও ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন, এমনকি অনেকে আক্রান্তও হয়েছেন। এদিকে, রোগীর স্বজনদের ভিড়ে চিকিৎসাসেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে চিকিৎসকদের।
বুধবার বরগুনা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বরগুনা হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫৫ জন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে আরও ভর্তি রয়েছেন ১০ জন। তাদের মধ্যে আমতলীতে ১, বেতগীতে ৩, বামনায় ৩ এবং পাথরঘাটায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ জন।
বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২৩৭ জন। এ বছর জেলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৫৬০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ৩২৩ জন। এ ছাড়া বরগুনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এখন পর্যন্ত ৬ জন আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বরগুনার বাইরে চিকিৎসা নিয়ে মারা গেছেন আরও ১৬ জন। এ নিয়ে বরগুনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২২ জন।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ‘আক্রান্তের সংখ্যা দু-একদিন কমবেশি হতে পারে, তার মানে এই নয়, আমরা বিপদমুক্ত। এখনও যে পরিস্থিতি তাতে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালে রোগীর থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় বেশি। চিকিৎসা দিতে গিয়ে পড়তে হয় নানান বিপাকে।’