বরগুনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আবদুল করিম (৫০) ও মনিরা (৩৩) নামে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৫ জনে।
শুক্রবার (২৭ জুন) দিবাগত রাতে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুল করিমের মৃত্যু হয়। তিনি বরগুনার বেতাগী উপজেলার কালিকাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। শনিবার (২৮ জুন) বেলা ১১টার দিকে মনিরা (৩৩) নামে আরও একজন মারা গেছেন। তিনি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার হোগলাপাশা নামক এলাকায় বাসিন্দা। মনিরা পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের সিএ পদে কর্মরত ছিলেন।
শনিবার (২৮ জুন) বরগুনা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বরগুনা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫৭ জন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে আরও ভর্তি রয়েছেন ১১ জন। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২৩৪ জন।
এ বছর জেলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৭৭৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ৫৪৫ জন। এ ছাড়া বরগুনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এখন পর্যন্ত ৬ জন আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। শহরের বাইরে চিকিৎসা নিয়ে মারা গেছেন আরও ১৯ জন।
বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, ‘একজন ডেঙ্গু রোগী শুধু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েই মারা যান না। যেসব রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়, তাদের আরও বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। যখন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় তখন অন্য রোগগুলোও তাদের আক্রমণ করে। যার কারণে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের পর দুর্বল হয়ে মারা যায়।’