বরগুনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাজী মো. মহাসিন (৬০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ২৬ জনে।
রবিবার (২৯ জুন) সকাল ১১টার দিকে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মৃত মো. মহাসিন বরগুনা সদর উপজেলার ২ নম্বর গৌরীচন্না ইউনিয়নের খাজুরতলা গ্রামের বাসিন্দা।
মহসিনের ভাইয়ের ছেলে রুবায়েত হাসান শোয়েব বলেন, ‘গত একসপ্তাহ ধরে আমার চাচা অসুস্থ ছিলেন। তবে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে দু'দিন চিকিৎসা নিয়ে মোটামুটি সুস্থ হয়ে বৃহস্পতিবার বাড়ি আসেন। হঠাৎ আজ আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বরিশালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।’
সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বরগুনা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬৯ জন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে আরও ভর্তি রয়েছেন ৭ জন। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২১৭ জন। এ বছর জেলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৮৫৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ২৬৩৮ জন। সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এখন পর্যন্ত ৬ জন আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। জেলার অন্যান্য স্থানে চিকিৎসা নিয়ে মারা গেছেন আরও ২০ জন।
বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, ‘একজন ডেঙ্গু রোগী শুধু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েই মারা যান না। যেসব রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান, তাদের আরও বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। আজকের যিনি মারা গেছেন তিনি আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নেননি। তিনি অন্য একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে তার চিকিৎসাপত্র দেখলে বোঝা যাবে অন্য কোনও সমস্যা ছিল কিনা। তবে যখন একজন ব্যক্তি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন, তখন অন্য রোগগুলোও তাকে আক্রমণ করে থাকে।