‘সাদাসিধে লোকটি ছিল সবার প্রিয়’

‘উনি ছিলেন খুবই সাদাসিধে মানুষ। কোনও রকম অহমিকা ছিল না। যিনি পরিচিত তার সঙ্গে কথা বলতেন খুব মেপে। আর অপরিচিত লোকজনদের সঙ্গে কথা বলতে প্রায়ই ইতস্তত বোধ করতেন। তবে আমাদের সবার কাছে তিনি ছিলেন প্রিয় একজন মানুষ। এভাবে কেন তিনি খুন হলেন বুঝতে পারছি না। মাত্র তিন লাখ টাকার জন্য কেন খুন করা হলো তাকে? টাকা নিয়ে তো ছেড়েও দিতে পারতো।’

কথাগুলো বলতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে উঠেন ইরফানুল ইসলামের দীর্ঘদিনের সহকর্মী দৃকের অ্যাডভাইজার ফরহাদ হোসেন ।

রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সামনে কথা হয় তার সঙ্গে। বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে এসব বলতে বলতেই চোখ ধরে আসে ফরহাদ হোসেনের। প্রিয় মানুষটিকে হারানোর বেদনা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছিলেন না তিনি।

নিহত ইরফানুল ইসলামের মরদেহ নিতে এসেছিলেন দৃক গ্যালারির জেনারেল ম্যানেজার এস এম রেজাউর রহমান। তিনি জানান, আমাদের অফিসের সবার সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক ছিল ইরফানুল ইসলামের। কারও সঙ্গে কখনও খারাপ আচরণ করতে দেখা যায়নি তাকে। সব সময় হাসিমাখা মুখ ছিল তার।

ইরফানুলের বড় ভাই ইমদাদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ১৯৯৩ সাল থেকে ইরফানুল ইসলাম দৃক গ্যালারিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি একই সঙ্গে হিসাব বিভাগও তদারকি করতেন।

ইমদাদুল ইসলাম আরও জানান, তার ভাই ইরফানুলের কোন শত্রু বা কারও সঙ্গে বিরোধ ছিল বলে জানা নেই তার। তিনি একেবারে সাদাসিধে মানুষ ছিলেন। তাই আমরা সুনির্দিষ্ট কাউকে সন্দেহ করছি না।

/টিএন/