ছাত্রীর সঙ্গে ফোনালাপ প্রকাশ পাওয়ায় কলেজ শিক্ষককে বরখাস্ত

ঝালকাঠিঝালকাঠির রাজাপুরে বড়ইয়া ডিগ্রি কলেজের এক ছাত্রীর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার অভিযোগে শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। নীল কমল সানা নামে ইংরেজি বিভাগের ওই প্রভাষকের ফোনালাপ প্রকাশ পাওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়। তবে বহিষ্কারের বিধিমালা ভেঙে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কলেজ শিক্ষক নীল কমল সানা বলেন, 'একটি মহল আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য আমাকে ফাঁদে ফেলেছেন। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কোনও নিয়মের তোয়াক্কা না করেই কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাকে বহিষ্কার করেছে।'
জানা গেছে, ওই শিক্ষক কলেজের প্রাক্তন এক ছাত্রীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলতেন। এরপর তাদের দীর্ঘদিনের কথোপকথন মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে ওই ছাত্রী। সম্প্রতি পুরাতন সেই ফোনালাপ প্রকাশ পেলে কলেজ কর্তৃপক্ষ মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে।
তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের চাকরির শর্তাবলি রেগুলেশনের সংশোধিত ২০১৫ এর নিয়মানুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৯২সালের আইনের ১৬ (ক) ধারায় পেশাগত অসদাচরণ অথবা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য গভর্নিং বডি একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের ক্ষেত্রে আলাদা নিয়ম রয়েছে। ওই নিয়মে অভিযোগের বিষয়টি গভর্নিং বডি কর্তৃক নিযুক্ত পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি দিয়ে তলব করার বিধান রয়েছে। ওই তদন্ত কমিটিতে কলেজের একজন শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রতিনিধি থাকা আবশ্যক। তবে ওই নিয়ম অনুসরণ না করে নীল কমল সানাকে মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতেই কলেজ কর্তৃপক্ষ সাময়িক বরখাস্ত করে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কলেজের এক প্রভাষক বলেন, ‘যে মেয়েকে যৌন হয়রানির করার অভিযোগ করা হচ্ছে, সেই মেয়ের কোনও অভিযোগ ছাড়াই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রাক্তন ওই ছাত্রীর বহু আগের ফোনের কথোপকথন নিয়ে এ ধরনের বহিষ্কার আদেশ অনৈতিক ও নিয়ম বহির্ভূত।’

/এনএস/