নিহত ফাতেমার বড় ভাই মোস্তাকিম বাহাদুর জানান, এক বছর আগে উত্তর কলারদোয়ানিয়া গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আকতার হোসেনের সঙ্গে তার অনার্স পড়ুয়া ছোট বোন ফাতেমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আকতার ও তার ছোট ভাই খোকন ফাতেমাকে তার বাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে ৪ লাখ টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
তিনি আরও জানান, ফাতেমা তার শ্বশুর বাড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে এক মাস আগে বাড়িতে চলে আসে। কিন্তু তারপরও কয়েক দিন ধরে আকতার ও তার ভাই খোকন ফাতেমাকে ফোনে ওই টাকার জন্য চাপ দেয়। পরে আকতার তাদের বাড়িতে গিয়ে ফাতেমার মোবাইলে থাকা যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করার কথোপকথনের রেকর্ড মুছে ফেলে এবং তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে গত সোমবার গভীররাতে ফাতেমা বিষপান করে। অসুস্থ অবস্থায় তাকে রাতে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে খোকনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তাদের (স্বামী-স্ত্রীর) মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থাকতে পারে।
নাজিরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাসেল সরোয়ার জানান, ফাতেমার মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
/এআর/