চাল আত্মসাৎ করায় ইউপি চেয়ারম্যানের কারাদণ্ড

কারাদণ্ডসরকারি চাল আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের দায়ের করা একটি মামলায় পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চর কাজল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহম্মদকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে পটুয়াখালীর স্পেশাল জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) বাসু দেব রায় এ রায় দেন।



এছাড়াও আসামিকে ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও দুদকের পিপি অ্যাড. গাজী নেছারউদ্দিন জানান, ২০০৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি গলাচিপা উপজেলার সরকারি খাদ্য গুদাম হইতে ৫ হাজার ৫৫০ কেজি সরকারি ভিজিডি’র চাল উত্তোলনের পর ২ হাজার ৫০ কেজি চাল কালোবাজারে বিক্রি করেন চরকাজল ইউপি’র তৎকালীন চেয়ারম্যান আলী আহম্মদ। বিতরণের জন্য বাকি ৩ হাজার ৫০০ কেজি চাল পরিষদের গুদামে মজুদ করেন চেয়ারম্যান।
চাল আত্মসাতের ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী পরিষদের গুদামে তালা ঝুলিয়ে দেয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে চাল জব্দ করে। এসময় পরিষদের গুদাম থেকে ৫০ কেজি পরিমাণের আরও ২৮ বস্তা চাল উদ্ধার করেন তারা।
এ ঘটনায় ২০০৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান মোল্লা চেয়ারম্যানকে আসারি করে গলাচিপা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পটুয়াখালী দুদকের তৎকালীন সহকারি পরিচালক রাম মোহন নাথ মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. চন্দন সমদ্দার।
/এআর/