বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রীর মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আ. আউয়াল সিরাজকে আটক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগে ওই ছাত্রীর মা উল্লেখ করেন, চার মাস আগে তার মেয়েকে বরগুনার বটতলায় আ. আউয়াল সিরাজ পরিচালিত জান্নাতুল মাওয়া মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। গত ২৬ মে মেয়েকে মাদ্রাসায় রেখে আসার কয়েক ঘণ্টা পর সিরাজ ফোন করে জানান তার মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি থানায় জানাতে চাইলে সিরাজ ও তার স্ত্রী চম্পা আক্তার বাধা দেন।
মঙ্গলবার তিনি বাদী হয়ে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে আ. আউয়াল সিরাজ ও চম্পা আক্তারকে আসামি করে বরগুনা থানায় মামলা করেন।
আ. আউয়াল সিরাজ অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ ওই মেয়েকে জ্বীনে গিয়ে গেছে।’
মাদ্রাসা পরিচালনায় প্রশাসনের অনুমতি আছে কিনা তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনও মাদ্রাসারই অনুমতি নেই। তাই আমাটারও নেই।’
বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক পিপিএম জানান, সিরাজের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু আইনে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও তিনি জানান।
এর আগে ২০১৩ সালে আ. আউয়াল সিরাজকে বরগুনার লাকুরতলা থেকে আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসিম উদ্দিন রহমানির সঙ্গে আটক হয়।
/বিএল/