‘ইউএনও সালমনকে আদালত কক্ষে নয়, হাজতখানায় রাখা হয়েছিল’

 

গাজী তারিক সালমনইউএনও গাজী তারিক সালমনকে বরিশালের বরিশালের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হয়েছিল বলে যে তথ্য দেওয়া হয়েছিল, তা ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন এসআই আবদুল কালাম হাওলাদার। বরিশাল সিএমএম কোর্ট হাজতখানার বর্তমান দায়িত্বশীল এই কর্মকর্তা প্রথমে এ বিষয়ে কিছু বলতে না চাইলেও পরে বলেন, ‘বিচারক প্রকাশ্য আদালতে জামিনের আবেদন খারিজ করার পর ইউএনও তারিক সালমনকে   হাজতখানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ওই দিন হাজতখানার রেজিস্ট্রারের ৩৩০ নং পাতায় ১ নম্বরেই আসামির নাম লেখা হয়। এরপর জামিন মঞ্জুর হলে তিনি সেখান থেকেই মুক্তি পান।’ মঙ্গলবার বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে বিচারকের পক্ষ হতে জানানো হয়েছিল, তারিক সালমানের জামিনের শুনানি মুলতবি করে তাকে জামিনের জন্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনিয়ে নেওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তার খাতিরে আদালতে বসতে বলা হয়েছিল। এর দু’ঘণ্টা পর তার কাগজপত্র এলে তাকে জামিন দেওয়া হয়।

বরিশাল চিফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজত খানার রেজিস্ট্রিার

তবে এ ব্যাপারে মামলার বাদী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ ওবায়েদুল্লাহ সাজু ও আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন উভয়েই জানান, ‘প্রকাশ্য আদালতে প্রথমে গাজী তারিক সালমনের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে হাজতে পাঠানো  হয়েছিল, দু’ঘণ্টা পর বিচারকের খাস কামরা থেকে পেশকার মারফৎ জামিন দেওয়ার কথা জানানো হয়। ’

উল্লেখ্য আমন্ত্রণপত্রে ছাপানো বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করার  গত ৭ জুন বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ওবায়েদুল্লাহ সাজু বাদী হয়ে ইউএনও গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বিচারক ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে গাজী তারিক সালমানকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে সমন জারি করেন। এরপর গত ১৯ জুলাই তারিক সালমন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন।

ওই দিন প্রথমে তারিক সালমনের জামিন আবেদন প্রকাশ্যে নাকচ করে  কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বরিশালের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আলী হোসাইন।

এর দুই ঘণ্টা পর আবার তিনি গাজী তারিক সালমনের জামিন মঞ্জুর করেন। মামলাটিও ২৩ জুলাই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

 /এমএনএইচ/