শোক দিবসে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা: সেই অদ্রিজা এবার প্রথম

আগৈলঝাড়ায় ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় এবার প্রথম স্থান অধিকার করেছেন ১১ বছর বয়সী সেই অদম্য বালিকা অদ্রিজা কর। যার আঁকা ছবি আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রশাসনের আমন্ত্রণপত্রে ছাপার ঘটনায় জেল খেটেছিলেন তৎকালীন ইউএনও তারিক সালমান। পরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বিষয়টির মীমাংসা হয়।

পুরস্কার গ্রহণ করছে অদ্রিজাগত ১৪ আগস্ট সোমবার বিকালে আগৈলঝাড়া শ্রীমতি মাতৃমঙ্গল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আগৈলঝাড়া উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৭৫ জন শিশু অংশ নেয়। এবারের প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল ‘জাতীয় শোক দিবসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছবি অঙ্কন।’

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের ৩টি গ্রুপে ভাগ করা হয়। ‘ক’ গ্রুপ থেকে পার্থ হালদার, ‘খ’ গ্রুপ থেকে শ্যামা দাস এবং ‘গ’ গ্রুপ থেকে প্রথম স্থান অধিকার করে বঙ্গবন্ধুর ছবি এঁকে আলোচিত সেই বালিকা অদ্রিজা কর। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফ আহমেদ রাসেল।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) শতরূপা তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন সরদারসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

উল্লেখ্য, গত ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রশাসনের আমন্ত্রণপত্রে ছাপা হয় ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করা অদ্রিজার আঁকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। এ ছবিকে ‘বিকৃত’ অভিযোগে তৎকালীন আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী তারিক সালমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন বরিশাল আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং তৎকালীন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ ওবায়দুল্লা সাজু। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ জুলাই গাজী তারিক সালমানকে কারাগারে পাঠালে সারাদেশে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে ঘটনাটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে এলে মামলা করায় দল থেকে বহিস্কার করা হয় ওবায়দুল্লা সাজুকে।

/এমও/