বরগুনায় স্বামীকে আটকে রেখে শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ

বরগুনাবরগুনার বেতাগীতে স্বামীকে আটকে রেখে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিক্ষিকা বাদী হয়ে থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

আসামিরা হলেন- হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের মো. হিরন বিশ্বাসের ছেলে সুমন বিশ্বাস (৩৫), আব্দুল বারেক মিয়ার ছেলে মো. রাসেল (২৪), আ. কুদ্দুস কাজীর ছেলে সুমন কাজী (৩০), মো. সুলতান হোসেনের ছেলে মো. রবিউল (১৮), আ. রহমানের ছেলে মো. হাসান (২৫) ও মো. রহমান হাওলাদারের ছেলে মো. জুয়েল (৩০)।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকা তার স্বামী ভারতীয় নাগরিক পূর্ব মেদেনীপুর জেলার নন্দী গ্রাম থানার বাসিন্দার সঙ্গে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় স্কুল ছুটির পর বিদ্যালয়ের বারান্দায় কথা বলছিল। তাদের কথা বলতে দেখে স্থানীয় কয়েক যুবক সন্দেহ পোষন করে জড়ো হয়। তারা স্কুলের মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে শিক্ষিকা প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে ওই ৬-৭ যুবক তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তার স্বামীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে পরিচয় জানতে চায়। শিক্ষিকার স্বামীর পরিচয় জেনে তার একটি কক্ষে তাকে আটকে রাখে। পরে অন্য একটি কক্ষে শিক্ষিকাকে গণধর্ষণ করে যুবকরা চলে যায়।

যুবকরা চলে যাওয়ার পরে তারা বিষয়টি বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান। নির্বাহী অফিসার বেতাগী থানা পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নিদের্শ দেন। পরে ওই শিক্ষিকা স্বামীকে নিয়ে থানায় গিয়ে নিজে বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন (মামলানং-১৩,তারিখ:১৭-৮-২০১৭)। পরবর্তীতে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পুলিশ পাহাড়ায় তাকে রাত সাড়ে ১০টায় বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম মাহমুদুর রহমান বলেন, ঘটনার পর পর শিক্ষিকা আমার কাছে এসেছিল। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে থানায় পাঠিয়েছি।

এ ঘটনায় বরগুনা পুলিশ সুপার বিজয় বসাক পিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত চলছে। থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। শিক্ষিকাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।’

/এআর/