প্রথম বছরে নির্ধারিত স্থানে ২০ শতাংশ কোরবানির পশু জবাই হলেও দ্বিতীয় বছরে তা বেড়ে ৬০ শতাংশে গিয়ে দাঁড়ায় বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল। নির্দিষ্টস্থানে পশু জবাই করা হলে বিসিসির কর্মীরা দ্রুত বর্জ্য অপসারণ করে পরিবেশ সুন্দর ও দূষণমুক্ত রাখতে পারবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের ভেটেরেনারি সার্জন ডা. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘পরিবেশ দুষণরোধে নির্দিষ্টস্থানে পশু কোরবানি করার বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় গত ২ বছর ধরে বরিশাল সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থান নির্ধারণ করা হয়। এবারেও সেইভাবে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে দিনে দিনে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির হার বেড়ে যাওয়ায় গত ২ বছরের তুলনায় এবার নির্ধারিত স্থানের সংখ্যাও বেড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্ধারিত স্থানের বাইরে যেমন নিজের বাড়ির আঙিনায় কিংবা মাঠে পশু কোরবানি দেওয়ার ওপরে কোনও নিষেধ নেই। তবে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পশু কোরবানি দাতাদের নিজ দায়িত্বে বর্জ্য অপসারণ করতে হবে। আবার তারা বর্জ্য ব্যাগ ভরে নির্ধারিত স্থানে রাখলে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা তা নিয়ে যাবে। এরপরেও বর্জ্য ফেলে রেখে পরিবেশ দূষণ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরিশাল সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, কর্তৃপক্ষের ঘোষিত ওয়ার্ডভিত্তিক কোরবানির পশু জবাইয়ের এসব নির্ধারিত স্থানের মধ্যে সর্বনিম্ন দুটি করে ২ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে এবং সর্বোচ্চ ১১টি করে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিসিসি সূত্র আরও জানায়, এই কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তাবায়নের জন্য নগরের ৩০টি ওয়ার্ডে সাধারণ আসনের কাউন্সিলরকে সভাপতি ও নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরকে সহ-সভাপতি করে ৩০টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সর্বোনিম্ন ৮ সদস্য ও সর্বোচ্চ ১৩ জন সদস্য থাকবেন।
এবারেও নির্ধারিত স্থান ঘিরে বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থায় বস্তা ও ব্লিচিং পাউডার সরবরাহ করা হবে। ইতোমধ্যে এই তথ্য জনগণকে জানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হ্যান্ডবিল, মাইকিং করার প্রস্তুতিও হাতে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও আসন্ন জুমার নামাজে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মসজিদের ইমামরা নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দেওয়ার জন্য মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন।
এছাড়াও জনসাধারণকে উদ্বুব্ধ করতে প্রতিটি ওয়ার্ডের একটি করে নির্ধারিত স্থানকে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সাজ-সজ্জায় সজ্জিত করা হবে।
/এআর/