এদিকে, প্রচুর মাছ ধরা পড়ায় ব্যস্ত দিন কাটাচ্ছেন খুচরা বিক্রেতারাও। ছোট ও মাঝারি সাইজের ইলিশের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে থাকায় এ বছর সব শ্রেণির মানুষ কিনছেন ইলিশ।
জানা যায়, সাগরে ও নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ায় বিভিন্ন উপজেলার ছোট-বড় মৎস্যঘাট ও বন্দরগুলো জমে উঠেছে। ইলিশ মাছ পাইকারী ক্রয়-বিক্রয় এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে রফতানি করা মোকামের মধ্যে অন্যতম পটুয়াখালীর মৎস্যবন্দর আলীপুর ও মহিপুর। এ দুটি মৎস্য বন্দরের বাইরেও জেলায় ইলিশের ছোট-বড় মোকাম রয়েছে কুয়াকাটা, গলাচিপা, ঢোস, মৌডুবি, জাহাজমারা, রাঙ্গাবালী, বাহেরচর বাজার, বদনাতলী, পানপট্টি, কোড়ালিয়া, বাঁশবাড়িয়া, কালাইয়া, বাধঘাট, লেবুখালী, পায়রা কুঞ্জ ফেরিঘাট, মনোহরখালী, আয়লা, কারখানা, কালিশুরীসহ অন্তত অর্ধশত হাট-বাজার ও লঞ্চঘাট। ইলিশের চলতি মৌসুমে প্রতিদিন শত শত মন ইলিশ ক্রয়-বিক্রয় হয় এসব স্থানে। আর এসব বাজারগুলোতে ইলিশ কিনতে ক্রেতাদের উপচে পরা ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
জেলে মো কাশেম বলেন, ‘এহন অনেক ইলিশ মাছ ধরা পড়তেছে। এবার মালিকের দাদন দিয়া অনেক লাভ হবে। সংসারে আর কোনও অভাব নাই। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করাতে পারমু।’
মহিপুর ফিশিং এর মালিক নিমাই চন্দ্র দাস জানান, এবার একটি ট্রলারে সর্বোচ্চ প্রায় ২৩০ থেকে ২৫০ মণ ইলিশ পেয়েছি। যা বিক্রি হয়েছে ৩০ লাখ ৩৫ লাখ টাকায়। তবে যারা সমুদ্রের গভীরে ট্রলার নিয়ে যায় তারাই বেশি মাছ নিয়ে তীরে ফেরে। এখন পর্যন্ত আমার আড়তে চার হাজার মন ইলিশ পেয়েছি।
আলীপুর মৎস্য ও আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান, প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় খুশি নেমে এসেছে জেলে পরিবারগুলোতে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাছানাত জানান, মৎস্য অভিযান সফল হওয়ায় জেলেদের জালে প্রচুর মাছ পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:
‘মাস্টারপ্ল্যানে’ই থমকে গেছে কুয়াকাটার উন্নয়ন, দুর্ভোগে স্থানীয়রা