নিজের জমিতে রাস্তা নির্মাণে বাধা দেওয়ায় নিখোঁজ, দুদিন পর লাশ উদ্ধার

বরিশাল

বরিশালের মুলাদী উপজেলায় নিজের জমিতে রাস্তা নির্মাণে বাধা দেওয়ায় নিখোঁজ হন আবুল বাশার ওরফে প্রিন্স শিকদারের (৩২)। নিখোঁজের দুই দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের চরআলিমাবাদ এলাকার কাচ্চির-সাহেবেরচর নতুন ব্রিজ সংলগ্ন আড়িয়ালখাঁ নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মুলাদী থানার ওসি (তদন্ত)আবু সাইদ তালুকদার জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে রবিবার রাতে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহটি উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের সাহেবের চরের নেছারউদ্দিন সিকদারের ছেলে প্রিন্সের বলে সনাক্ত করা হয়েছে।

নিহতের বাবা নেছারউদ্দিন সিকদার জানান, শুক্রবার রাতে বাটামারা ইউনিয়নের সদস্য আবুল কালাম ওরফে কালাম হাওলাদার এবং চুন্নু হাওলাদারের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন তাদের ফসলি জমির মধ্যদিয়ে রাস্তা নির্মাণ শুরু করে। খবর পেয়ে তিনি ও তার ছেলে আবুল বাশার প্রিন্স সিকদার, চাচাতো ভাই মেজবাহউদ্দিন সিকদার ও সেকান্দার সিকদারসহ ৭/৮ জন ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তা নির্মাণে বাধা দেন। তখন বাটামারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলামের উপস্থিতিতে ইউপি সদস্য আবুল কালাম ও চুন্নু হাওলাদার কৌশলে স্থানীয় মসজিদের মাইকে এলাকায় ডাকাত ঢুকেছে বলে প্রচার করে। এসময় শত শত গ্রামবাসী লাঠিসোটা নিয়ে জড়ো হয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন,‘বাটামারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলামের উপস্থিতিতে হামলাকারীরা আমার ছেলে প্রিন্স সিকদারকে অপহরণ করে। পরে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য নদীতে ফেলে দিয়েছে।’

এ ব্যাপারে মুলাদী থানার ওসি আবু সাইদ তালুকদার জানান, শনিবার নেছারউদ্দিন তার ছেলেকে অপরহণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। রবিবার বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থল তদন্তে গিয়েছিল। ওই রাতেই প্রিন্স তালুকদারের লাশ পাওয়া যায়। এখন ওই মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে রুজু করা হবে।

আরও পড়ুন: অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়কালে ৩ যুবক আটক