শনিবার (৭ জুলাই) দুপুরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সেলের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের শিল্পবিষয়ক একাডেমিক জোট শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘বরিশাল অঞ্চলে শিল্পায়নের বিদ্যমান সম্ভাবনা কাজে লাগাতে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। শিল্পায়নের জন্য কার্যকর বিশ্ববিদ্যালয়-শিল্প সংযোগ অত্যন্ত জরুরি। শিল্পায়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, একটি জ্ঞানভিত্তিক অভিযাত্রা। উন্নত বিশ্বে এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধারা চলছে। কিন্তু বাংলাদেশ সবে তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রবেশ করেছে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে। ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের শিল্প উদ্যোক্তাদের অধিকাংশই প্রথম জেনারেশন অতিক্রম করছে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, উন্নয়ন চিন্তাবিদ, শিল্প বিশেষজ্ঞ, প্রযুক্তিবিদ তথা এককথায় একাডেমিশিয়ানরা টেকসই, লাভজনক ও পরিবেশবান্ধব প্রকল্প গ্রহণে নতুন প্রজন্মের শিল্প উদ্যোক্তাদের সাহায্য করতে পারেন। ’
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘১৩ হাজার ২৯৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের বরিশাল অঞ্চল ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশের একটি সমৃদ্ধ জনপদ। এ বিভাগের জনসংখ্যা প্রায় ৮৫ লাখ। এ অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগ কৃষিভিত্তিক পেশার সঙ্গে জড়িত। সামুদ্রিক মৎস্য আহরণেও বরিশাল বিভাগ এগিয়ে রয়েছে। দেশে প্রতিবছর প্রায় ৩ লাখ মেট্রিকটন ইলিশ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে প্রায় ২ লাখ মেট্রিকটন ইলিশ উৎপাদিত হয় বরিশাল বিভাগে। বরিশালে হিমায়িত মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, পর্যটন, পেয়ারা, আমড়া, নারিকেল, সুপারি, চামড়া, হস্ত ও কারুসহ বহুমুখী শিল্প স্থাপনের চমৎকার সুযোগ রয়েছে। ’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ কে এম মাহবুব হাসান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনোলজি ট্রান্সফার অফিসের পরিচালক প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাফিজ আশরাফুল হকের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান রাহাত হোসেন ফয়সাল।