বিসিসি নির্বাচন: ব্যয় বেশি আ. লীগ-বিএনপি প্রার্থীর, কম বাসদের

 

সাদিক, সরোয়ার ও মনীষাবরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (বিসিসি) সাত মেয়র প্রার্থীর মধ্যে বেশি ব্যয় করবেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ সাদিক এবং বিএনপির মজিবর রহমান সরোয়ার। আর সবচেয়ে কম ব্যয় করবেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর প্রার্থী ডা. মনীষা চক্রবর্তী। তবে সবারই ব্যয়ের প্রধান উৎস নিজস্ব আয় এবং স্বজনদের কাছ থেকে পাওয়া সহায়তা ও ঋণ।

বরিশালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থীই নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ নির্বাচনি ব্যয় মানে ১৫ লাখ টাকা খরচ করবেন বলে হলফনামায় জানিয়েছেন।

বিএনপি প্রার্থী সরোয়ার নিজস্ব তহবিল থেকে নির্বাচনি ব্যয়ের সংস্থান করবেন। আর আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাদিক বাবা ও ভাইয়ের কাছ থেকে দান বাবদ ১১ লাখ টাকাসহ পুরো ব্যয় নির্বাহ করবেন। সরওয়ার হলফনামায় বলেছেন, নিজস্ব ব্যবসা থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে নির্বাচনি প্রচারের ৩ লাখ পোস্টার এবং দেড় লাখ লিফলেট ছাপাবেন। ৩০টি নির্বাচনি অফিস করলেও অফিসে আপ্যায়ন কিংবা কর্মীদের পেছনে কোনও টাকা খরচের কথা তিনি উল্লেখ করেননি।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাদিক হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, ১৫ লাখ টাকার মধ্যে ৪ লাখ টাকা নিজস্ব আয়। বাকি ১১ লাখ টাকার মধ্যে ৭ লাখ দান বাবদ দেবেন তার বাবা সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। আর ৪ লাখ দেবেন তার ছোট ভাই সেরনিয়াবাত মঈন আব্দুল্লাহ।

হলফনামা অনুযায়ী, সাদিক তার নির্বাচনি সম্ভাব্য ব্যয়ের মধ্যে পোস্টার ছাপাবেন ৫০ হাজার, ২ লাখ করে মোট চার লাখ লিফলেট ও হ্যান্ডবিল ছাপাবেন।

কেন্দ্রীয় অফিসসহ সাদিক ১১টি নির্বাচনি ক্যাম্পে আপ্যায়ন বাবদ ১৮ দিনে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা ব্যয় করলেও কর্মী বাবদ কোনও টাকা খরচ হবে না বলে জানিয়েছেন হলফনামায়।

বিসিসি নির্বাচনে তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যয় করবেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস। তিনি ১২ লাখ টাকা খরচের কথা হলফনামায় লিখেছেন।

খেলাফত মজলিশের প্রার্থী একেএম মাহবুব আলম দাখিল করা হলফনামায় নির্বাচনে ৭ লাখ টাকা ব্যয় করবেন বলে জানিয়েছেন।

চরমোনাই পীরের রাজনৈতিক সংগঠন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মাওলানা ওবাইদুর রহমান মাহবুব ৫ লাখ টাকা তার সম্ভাব্য নির্বাচনি ব্যয় হবে বলে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন।

নির্বাচনে সবচেয়ে কম ব্যয় করবেন বাসদের মেয়র প্রার্থী ডা. মনীষা চক্রবর্তী। তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, ১ লাখ টাকা তার নিজস্ব আয়। এছাড়া মামা রবীন্দ্রনাথ মুখার্জি এবং আত্মীয় সৌমিত্র শর্মার কাছ থেকে দান বাবদ পাবেন ৫০ হাজার টাকা।

আত্মীয়ের বাইরে ডা. মঈন আহম্মেদ এবং তাফিজুর রহমান তাকে আরও ৫০ হাজার টাকা দেবেন। এর সঙ্গে ৪৫ হাজার টাকার সঙ্গে যোগ হবে বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান থেকে সংগৃহীত গণচাঁদা। তিনি ২ লাখ ৩৩ হাজার টাকা সম্ভাব্য ব্যয়ের বিবরণও দিয়েছেন তার হলফনামায়।