নদীতে বিষ প্রয়োগে ডিমওয়ালা মাছ নিধনের অভিযোগ

বিষ দিয়ে নিধনের পর দেশীয় প্রজাতির মাছ বিক্রি হচ্ছে বাজারেঝালকাঠির রাজাপুরে ছোট বড় নদীতে বিষ প্রয়োগ করে ডিমওয়ালা চিংড়ি মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার ফলে বিলুপ্তির পথে  রয়েছে চিংড়ি, পুঁটি, ব্যাদা, পাবদা, বাইলা, টেংড়া, শিং, কৈ, মাগুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। স্থানীয়দের অভিযোগ, একটি অসাধুচক্র গভীর রাতে উপজেলার ধানসিঁড়ি, পোনা, জাঙ্গালিয়া  নদী ও পাড়ের খালে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করে বিভিন্ন হাটবাজারে মাছ বিক্রেতাদের মাধ্যমে বিক্রি করছে।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার (৬ আগস্ট) রাতে উপজেলার ওইসব নদী ও খালে বিষ প্রয়োগ করা হয়। ফলে চিংড়িসহ দেশি মাছগুলো নদী ও খালের পাড়ে ভেসে উঠে। মাছ নিধনকারীরা কারেন্ট জালের সাহায্যে মাছগুলো কিনারে তুলে রাতেই বিক্রি করে দেয়। সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকরা রাজাপুর উপজেলা সদর বাজারে গিয়ে প্রচুর ডিমওয়ালা বিভিন্ন প্রজাতির মরা মাছ বিক্রি করতে দেখেন। মাছ বিক্রেতাদের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা জানান, বিভিন্ন গ্রাম থেকে তারা ক্রয় করে এনে বাজারে বিক্রি করছেন এসব মাছ। তবে কারও নাম তারা  প্রকাশ করেনি।

বিষ দিয়ে নিধনের পর দেশীয় প্রজাতির মাছ বিক্রি হচ্ছে বাজারেউপজেলার বিভিন্ন গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা জানান, শুধু এ মৌসুমে নয়, সারা বছরই একইভাবে নদীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করা হচ্ছে। এদের মধ্যে একটি বড় চক্র রয়েছে। যার ফলে দেশি মাছ দিনে দিনে বিলুপ্ত হতে চলেছে। অন্যদিকে নদীর পানিতে বিষ প্রয়োগ করায় পানি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এই পানি ব্যবহার করে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অথচ এসব প্রতিরোধের কোনও উদ্যোগ নেই মৎস্য অফিসের।

মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাতের আঁধারে নদীতে বিষ প্রয়োগ করে দেশি মাছ নিধনের সংবাদ আমরা পেয়েছি। কিন্তু মাছ নিধনের সময় কাউকে শনাক্ত করতে পারিনি।

মৎস্য কর্মকর্তা রমনী কুমার মিস্ত্রী জানান, এভাবে মাছ নিধন করা হলে একসময় বিলুপ্তি হয়ে যেতে পারে দেশি প্রজাতির মাছ। ভারতের তৈরি এক ধরনের বিষমিশ্রিত ট্যাবলেট ও বোতলভর্তি তরল বিষ প্রয়োগ করে অসাধুচক্রটি মাছ নিধন করছে। এজন্য কঠিন আইন প্রয়োগ করা দরকার বলে তিনি জানান।