বাংলাদেশের সুসময়ে-দুঃসময়ে ভারত পাশে থাকবে: শ্রিংলা

কথা বলছেন ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারত বাংলাদেশের জনগণের পাশে ছিল। এভাবেই বাংলাদেশের সুসময়ে-দুঃসময়ে ভারত পাশে থাকবে।’

রবিবার (৯ সেপ্টেম্বর) পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার কুড়িয়ানা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ কলেজে আয়োজিত এক সুধী সমাবেশের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ভারতীয় হাই কমিশনার আরও বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িকতার বন্ধনের দেশ। বাংলাদেশের উন্নয়নের রাজনীতি ভারতও বিশ্বাস করে।’ এসময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতীয় সেনা সদস্যদের প্রাণ উৎসর্গের বিষয়টি উল্লেখ করেন শ্রিংলা।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তি আন্দোলনে ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকতে পেরেছে বলে আজও আমরা গর্ববোধ করি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও ইন্দিরা গান্ধী সুসম্পর্কের যে বীজ বপন করেছিলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বের সরকার সে সম্পর্ক অটুট রেখে চলছে।’

অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার কুড়িয়ানায় পাকবাহিনীর রোমহর্ষক অত্যাচারের বিবরণ শুনে ব্যথিত হন।

অুনষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুড়িয়ানা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট কানাই লাল বিশ্বাস। বক্তব্য দেন পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, শের-এ-বাংলার দৌহিত্র ও শের-এ-বাংলা ফাউন্ডেশনের সভাপতি ফাইয়াজুল হক রাজু, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অধ্যক্ষ বিপুল বিহারী হালদার, ইউপি চেয়ারম্যান শেখর কুমার সিকদার, উপাধ্যক্ষ সঞ্জিব কুমার হালদার প্রমুখ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি রাজেশ উকে, নবনিতা চক্রবর্তী, প্রেস অ্যাটশে রঞ্জন মন্ডল, স্বরূপকাঠি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (স্বরূপকাঠি-কাউখালী সার্কেল) কাজী মো. শাহ নেওয়াজ।

অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাই কমিশনার কলেজটিতে শিক্ষাবৃত্তি চালুর ঘোষণা দেন এবং কলেজ পাঠাগারে বেশকিছু বই উপহার দেন। এর আগে হাই কমিশনার আদমকাঠি এলাকায় পেয়ারা বাগানসহ ভাসমান কৃষি ঐতিহ্য পরিদর্শন করেন।