নাজিরপুরে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে হয়রানির প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

পিরোজপুরপিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠি ইউনিয়নের শ্রীরামকাঠি ইউজেকে (যুগলকৃষ্ণ) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার শ্রীরামকাঠি ইউজেকে (যুগলকৃষ্ণ) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে টিফিন বিরতির সময় দশম শ্রেণির ছাত্র রামকানাই কর্মকার পান্থ তার ক্লাসের এক ছাত্রীর সহায়তায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ডেকে জোর করে বাথরুমে ঢুকিয়ে যৌন হয়রানির চেষ্টা করে। এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র রেজাউল ইসলাম রিপন ও পরশ খান এগিয়ে গেলে বখাটে রামকানাই কর্মকার পান্থ দৌড়ে পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত রামকানাই কর্মকার পান্থ উপজেলার শ্রীরামকাঠি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গোপাল স্বর্ণকারের ছেলে।

রিপন ও পরশ জানায়, ওই ছাত্রীর কান্নাকাটি শুনে তারা এগিয়ে যায়। পরে তারা বিষয়টি বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পবিত্র কুমারকে জানায়। এরপর ওই ছাত্রীকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অভিযুক্ত পান্থ ও ওই ছাত্রীর বাবা-মাকে বিদ্যালয়ে ডেকে আনা হয়। প্রধান শিক্ষকসহ সবার উপস্থিতিতে পান্থকে তার বাবা শাসন করেন এবং নিয়ে যান। এ সময় প্রধান শিক্ষক পান্থ ও ওই শিক্ষার্থীকে আপাতত বিদ্যালয়ে না আসার জন্য বলেন। ঘটনা জানাজানি হলে বখাটে রামকানাই কর্মকার পান্থর বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা

এ বিষয়ে পান্থর বাবা গোপাল স্বর্ণকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তেমন কিছুই হয়নি। একই স্কুলে পড়ায় ছাত্রছাত্রীর মধ্যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। পরে প্রধান শিক্ষক উভয়ের অভিভাবককে ডেকে মীমাংসা করে দিয়েছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমেন্দ্রনাথ মণ্ডল জানান, ঘটনার দিন উভয়ের অভিভাবককে ডেকে প্রাথমিকভাবে সমঝোতা করে দেওয়া হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার সভা ডাকা হয়েছে। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম সুলতান মাহমুদ জানান, এ ঘটনায় কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।