এলাকাবাসী জানান, শুক্রবার রাত থেকেই কারফা বাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে শনিবার সকাল থেকে দফায় দফায় স্থানীয়দের বাক-বিতণ্ডা হয়েছে। সকালে কারফা বাজারের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়েছে। এরইমধ্যে পুলিশ বহনকারী একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। বাজারের একটি ভবনের পাশে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ঝাড়ু নিয়ে মিছিল করেছেন স্থানীয়রা। এছাড়া উজিরপুরের ইচলাদিতে ঘাতকদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিশির কুমার পাল জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নিহতের বাবা শুকলাল হালদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে শনিবার দুপুরে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ– উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল এবং সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুসের পিএস আবু সাইদ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। তবে পুলিশ বলছে, বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখবে।
এদিকে, শনিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে নিহত চেয়ারম্যানের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে জল্লা ইউনিয়ন আইডিয়াল কলেজ মাঠে নেওয়া হয়। সেখানে হাজারো মানুষ তার হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে উজিরপুরের জল্লা ইউনিয়নের কারফা বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ হালদার নান্টু। এসময় গুরুতর আহত হন নিহার (৩৫) নামে অপর এক যুবক।