নিহত রেশমা উপজেলার ধামুড়া এলাকার মৃত আব্দুস সত্তার হাওলাদারের মেয়ে এবং সোহরাব একই এলাকার মৃত রহম আলী বেপারীর ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সোহরাবের ঘরের ভাড়াটিয়া গৌরনদীর সেন্টুর বেপারীর সঙ্গে রেশমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি টের পাওয়ার পর ২০১৫ সালের ৮ মার্চ রাতে ঘুমের ভান ধরে বিছানায় পড়ে থাকে সোহরাব। এরপর রেশমা ঘর থেকে বের হয়ে সেন্টুর সঙ্গে দেখা করে দীর্ঘক্ষণ পর ফিরে এসে স্বামীর পাশে ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুমন্ত রেশমাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে সোহরাব। পরে লাশ সেন্টুর ঘরে নিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালায়।
আদালত সূত্রে আরও জানা যায়, পরদিন ৯ মার্চ নিহতের ভাই শাহিন হাওলাদার বাদী হয়ে সোহরাব, সেন্টু ও সোহরাবের বোন কোহিনূরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উজিরপুর থানার এসআই ইয়াকুব আলী একমাত্র সেন্টুকে বাদ দিয়ে সোহরাব ও কোহিনূরকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ২৪ মে চার্জশিট দেন। ১১ জনের সাক্ষ্য শেষে কোহিনুরকে খালাস এবং সোহরাবকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন বিচারক।