আহতকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলতে বাধা, পরে মৃত্যু

বাবার হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

Barisal Dulal Sikder Murder Press Conference PIc 09.01.19বুধবার (০৯ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দুলাল সিকদারের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তার মেয়ে। সংশ্লিষ্ট ভুক্তভোগী নগরীর দরগাহ বাড়ি এলাকায় সরকারি দুগ্ধ ও গবাদী পশু খামারের কর্মচারী ছিলেন। দুষ্কৃতকারীরা প্রথমে তাকে কুপিয়ে-পিটিয়ে আহত করে। অ্যাম্বুলেন্স গেলে তাতে তাকে তুলতে বাধা দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে দুলাল সিকাদারকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু ততক্ষণে তিনি মারা যান।

নিহতের কন্যা দোলা সিকদার তার বাবার হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানিয়ে লিখিত বক্তব্যে বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার বাবাকে কুপিয়ে-পিটিয়ে হত্যা করে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিসদস্যুরা। এ ঘটনায় ওই রাতেই তার মা রহিমা আক্তার ২২ জনকে আসামি করে কোতোয়ালী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তিনি আরও বলেছেন, মামলা দায়েরের ৪৮ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত একজন আসামিকেও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। মামলার আসামি প্রভাবশালী আকিল-মুয়াজসহ অন্যান্যরা প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। এ কারণে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

তাই বাবার হত্যাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন দোলা সিকদার।

গত ২২ নভেম্বর জমিজমার বিরোধের জেরে আসামিরা দুলাল সিকদারকে কুপিয়ে-পিটিয়ে সড়কে ফেলে রাখে। হামলা চলাকালে দুলালের পরিবারের সদস্যদের তাদের ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। স্থানীয়দের খবরে অ্যাম্বুলেন্স গেলেও তাতে দুলালকে নিতে বাধা দেয় আসামিরা। পরবর্তীতে পুলিশ এসে দুলালকে শেরেবাংলা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।