বিচার পেতে শিশুর লাশ নিয়ে থানায় বাবা-মা

Barisal Shisu Mirtu PIc 06-02-19বরিশাল নগরীতে ইনহেলার দেওয়ার পর রিয়ান হাওলাদার (৫ মাস ৪ দিন) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত ৭টায় নগরীর সদর হাসপাতাল রোড এলাকার বেস্ট ফার্মেসি ও চিকিৎসক মাহামুদ হাসান খানের চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে। স্বজনদের অভিযোগ, তাকে চিকিৎসকের পরামর্শেই ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ডা. মাহামুদের ভুল চিকিৎসায় তাদের সন্তান মারা গেছে। ঘটনার পরপরই শিশুর লাশ নিয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় বিচার দাবি করেন শিশুর বাবা-মা।
রিয়ান নগরীর সিএন্ডবি ১ নম্বর ব্রিজ সংলগ্ন ইসলামপাড়ার বাসিন্দা আলামিন হাওলাদার ও শাহানাজ বেগম দম্পতির দ্বিতীয় ছেলে।
আলামিন হাওলাদার জানিয়েছেন, ২/৩ দিন ধরে রিয়ান সর্দি-কাশিতে ভুগছিল। এ সময় শ্বাস নিতে কষ্ট হতো রিয়ানের। বুধবার শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরের শিশু চিকিৎসক মাহামুদ হাসান খানকে দেখানো হয়। তিনি বিভিন্ন ওষুধ লেখার সঙ্গে সঙ্গে শিশুকে ইনহেলার দেওয়ার পরামর্শ দেন। এ জন্য তার (ডা. মাহামুদ) চেম্বার বেস্ট ফার্মেসিতে যাওয়ার জন্য বলেছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো শিশুটির বাবা-মা সন্ধ্যা ৭টায় বেস্ট ফার্মেসিতে গিয়ে একটি সালটোলিন ইনহেলার কেনেন।
ফার্মেসির এক সেলসম্যান শিশুটিকে ইনহেলারের স্প্রে দিয়ে দেয়। ইনহেলার ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে শিশু রিয়ান প্রস্রাব করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। শিশুটির এ অবস্থা দেখে তার মা-বাবা কান্নায় ভেঙে পড়েন। দোকানি তখন ‘সব ঠিক হয়ে যাবে’ বলে স্বান্তনা দিতে থাকে। কিন্তু লাশ নিয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় যান শিশুটির পিতা-মাতা। তারা সেখানে শিশুটি মৃত্যুর জন্য দায়িদের বিচার চান।
ওষুধের দোকানের কর্মচারী জানিয়েছে, চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ীই শিশুটিকে ইনহেলারের স্প্রে দেওয়া হয়েছে। তাদের কোনও ত্রুটি ছিল না। বেস্ট ফার্মেসির চেম্বারে থাকা ডা. মাহামুদ হাসানের দাবি, পরামর্শ সকালে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ইনহেলার ১০ ঘণ্টা পর নিয়েছে। এতে শিশুর অসুস্থতা বেড়ে গিয়ে থাকতে পারে। চিকিৎসায় কোনও ভুল ছিল না।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, শিশুটির পিতা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ কারণে শিশুটির ময়নাতদন্ত হবে। অভিযোগের তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।Barisal Shisu Mirtu PIc 06-02-19 [2]