বরগুনার আমতলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৩৭

দুর্ঘটনা কবলিত বাস

ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের ঘটখালীর ঢাকা থেকে কুয়াকাটাগামী যাত্রীবাহী সাকুরা পরিবহনের (ঢাকা মেট্টো-ব-১১-৮৫৬৭) একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ৩৭ যাত্রী আহত হয়েছেন। এসময় বাসটি সম্পূর্ণ দুমড়ে মুচড়ে যায়। 

শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল সোয়া সাতটার দিকে বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের ঘটখালী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় বাসটির মধ্যে ৪৫-৫০ জন যাত্রী ছিল বলে ধারনা করা হচ্ছে। বাসের মধ্যে থাকা সব যাত্রীই কম বেশি আহত হয়েছে।

আহতদের মধ্যে কয়েক জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, লিটু দে (৩৫), মশিউর রহমান (২১), মামা নৈ (৪৫), রিপন (৪০), আমেনা বেগম (৬০), জোবেদ আলী (৫০), নাহিদ (৭০), নাজমা (৩৫), জান্নাতি (৩), মোস্তফা (৫০), লাভলী (৩০), জাহানারা (৪৫), সাঈদুল (৪৫), হোসনেয়ারা (৩৫), তাসলিমা (৫০), আসমা (৩৫), ইউসুফ (৬), মোনাই (৬০), আবজাল (২৪) ও জান্নাতি (৪০)। আহতদের মধ্যে  চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আমেনা বেগম, জোবেদ আলী, নাহিদ ও সাঈদুল ইসলামকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

প্রত্যাক্ষদর্শী ও বাসে থাকা আহত কয়েকজন যাত্রী জানান, চালক বেপরোয়াভাবে বাসটি চালিয়ে আসছিল। ঘটখালী এলাকায় পৌঁছে বাসটি গতিরোধ অতিক্রম করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই-তিনটি পাক খেয়ে সড়কের ওপর থেকে পড়ে যায়। এসময় বাসের মধ্যে ৪৫-৫০জন যাত্রী ছিল। এসময় যাত্রীদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের উদ্ধার কাজ শুরু করে। পরে ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশের সহায়তায় বাসের মধ্যে আটকে পরা যাত্রীদের দ্রুত উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. আলাউদ্দিন মিলন জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহতদের উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, এঘটনায় বাসের চালক ও হেলপারকে আটক করা সম্ভব হয়নি। বাসটিকে উদ্ধারের কাজ চলছে। বাসটিকে উদ্ধার করে আমতলী থানা হেফাজতে রাখা হবে। এবিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সরোয়ার হোসেন ও আমতলী-তালতলী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. নাজমুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।