ধর্ষণের শিকার দাবি করে মাদ্রাসাছাত্রীর সংবাদ সম্মেলন

মাদ্রাসা ছাত্রীর সংবাদ সম্মেলন

বরিশালের হিজলা উপজেলায় এক মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে দাবি করেছে। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় বরিশাল শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ওই ছাত্রী। এ সময় পুলিশের ধর্ষণ মামলা না নেওয়া ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের ধর্ষণের বিষয়টি ৫০ হাজার টাকায় মীমাংসার চেষ্টার অভিযোগ এবং ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিচারের দাবি জানায় সে। সংবাদ সম্মেলনে ওই ছাত্রীর বাবাও উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্রীর ভাষ্যমতে, সজীব গাজী নামে এক তরুণ তাকে ধর্ষণ করেছে। সে স্থানীয় মেমানিয়া মোস্তাফিজুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।

সংবাদ সম্মেলনে ওই ছাত্রী অভিযোগ করেন, ‘মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে দীর্ঘদিন ধরে সজীব গাজী তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় অভিভাবকদের অনুপস্থিতিতে ঘরে ঢুকে সজীব তাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে সজীব পালিয়ে যায়।’

ওই মেয়ের বাবা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে হিজলার গৌরবদী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাহের আকনের কাছে গেলে তিনি সজীবের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকায় মীমাংসার প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হয়ে হিজলা থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ ধর্ষণের পরিবর্তে ধর্ষণচেষ্টার মামলা দায়ের করতে বাধ্য করেন। কোনও জায়গায় সুবিচার না পেয়ে ১৫ এপ্রিল বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা দায়ের করি।’

এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের মাধ্যমে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। থানা পুলিশের গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘ওই মেয়ে ও তার বাবাকে আমার কার্যালয়ে ডেকে এনে অভিযোগ শুনেছি এবং একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে দিয়ে ওই ছাত্রীর ধর্ষণের বিভিন্ন আলামত পরীক্ষা করিয়েছি। ওই পরিবারকে ন্যায় বিচারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।’