মহিপুর থানার ওসি মো. সাইদুল ইসলাম জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুয়াকাটা চৌরাস্তা থেকে ১৩ পিস ইয়াবাসহ ওমর ফারুখকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। ওই রাতে থানা হাজতের বাথরুমের ভেন্টিলেটরের লোহার রডের সঙ্গে পরনের লুঙ্গির অংশ দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ফারুক। পরে রাত ১২টার দিকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
ফারুখের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী এলাকায়। তিনি এর আগে নলছিটি থানায় দুইবার ১০০ ও ১০৩ পিছ ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক মামলা রয়েছে।
ওসি মো. সাইদুল ইসলাম আরও জানান, এর আগে ফারুকের মা অনেক টাকা খরচ করে তাকে জামিন করিয়েছে। এখন আবার ইয়াবাসহ গ্রেফতার হওয়ায় তার মাকে সে কী বলবে, এজন্য আত্মহত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।