‘মাথা ও ঘাড়ে গুরুতর ৩ ক্ষতসহ অসংখ্য কোপের আঘাত রিফাতের শরীরে’

রিফাত শরীফ (ফাইল ছবি)

বরগুনা সদরে প্রকাশ্য দিবালোকে হ্ত্যার শিকার রিফাত শরীফের (২৫) শরীরে অসংখ্য কোপের আঘাত ছিল বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী কমিটির প্রধান ডা. জামিল হোসেন। এর মধ্যে মাথা ও ঘাড়ে তিনটি গুরুতর ক্ষত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

রিফাত শরীফের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর ১২টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

ডা. জামিল হোসেন বলেন, ‘রিফাতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের অসংখ্য কোপের চিহ্ন রয়েছে। এর মধ্যে তার মাথা ও ঘাড়ে ৩টি গুরুতর ক্ষত ছিল। মূলত অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে রিফাতের লাশের ময়নাতদন্তে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জামিল হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন– ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. সোহেলী আক্তার তন্নী ও ডা. মাইদুল ইসলাম।

এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসা রিফাতের স্বজনেরা জানান, তারা লাশ নিয়ে বরগুনার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তারা। সেখানে জানাজা শেষে পরিবারিক কবরস্থানে রিফাতকে দাফন করা হবে।

উল্লেখ্য, বুধবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়শা আক্তার মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও তাদের দমাতে পারেননি। একাধারে রিফাতকে কুপিয়ে বীরদর্পে অস্ত্র উঁচিয়ে এলাকা ত্যাগ করে হামলাকারীরা। তারা চেহারা লুকানোরও কোনও চেষ্টা করেনি। গুরুতর আহত রিফাতকে এদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।