রাবি ছাত্রলীগের সংঘর্ষ: নেপথ্যে হলের গেস্টরুমে বসা

সংঘর্ষের সময় মাদার বখশ হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরারাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে মাদার বখশ হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরের ওই সংঘর্ষে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহাম্মেদ রুনু ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গত কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য সাকিবুল হাসান বাকির অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন—অমিত হাসান লিমন, মারুফ, সোহেল, রশিদ, রিয়ন, রনি ও জসীম। এরা সবাই সাকিবুল হাসান বাকির অনুসারী বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে লিমনের কপালে গুরুতর জখম হয়েছে। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র নেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাদার বখশ হলের গেস্টরুমে ছাত্রলীগ কর্মী কামরুলসহ দু’জন বসেছিলেন। এ সময় অমিত হাসান লিমন তার তিন মেয়েবন্ধুকে নিয়ে গেস্টরুমে যান। কামরুল ও তার বন্ধুকে গেস্টরুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন তিনি। কামরুল বের হতে না চাইলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে লিমনকে মারধর করা হয়। বিষয়টি লিমন তার সিনিয়র সাকিবুল হাসান বাকিকে ফোনে জানান। পরে বাকি ও তার অনুসারীরা মাদার বখশ হলে গিয়ে কামরুলের রুমের দরজায় ধাক্কাধাক্কি করেন। এ খবরে কামরুলের পক্ষের ও বর্তমান কমিটির সাধরণ সম্পাদক রুনু গ্রুপের দুই শতাধিক নেতাকর্মী হলের সামনে অবস্থান নেন। দু’গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে বাকি গ্রুপের আরও ছয়জন মারধরের শিকার হন।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ বিষয়ে সাকিবুল হাসান বাকি বলেন, ‘২০১৬ সালের সম্মেলনে আমি সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলাম। ওই কমিটিতে পদবঞ্চিত হওয়ার পর থেকে আমার ছেলেদের ওপর বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীরা বিভিন্নভাবে নির্যাতন করছেন।’

মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে ছোটভাই কামরুলকে বহিরাগতরা মারধর করেছেন। ঘটনাস্থলে এসে প্রক্টর স্যারকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টির মীমাংসা করা হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছে। বিষয়টি শোনার পর আমরা ঘটনাস্থলে আসি। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে।’