স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন

যাবজ্জীবন

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে স্বামী শাহ আলমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। শ্বশুর-শাশুড়িকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

রবিবার বিকেল ৪টার দিকে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহ আলম ও তার বাবা কদম আলী সরদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি রিজিয়া বেগম অনুপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বাড়ি বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ‘নিহত রাবেয়া বেগমের মা জয়নব বিবি ২০০৪ সালের ১৬ নভেম্বর আমতলী থানায় তার মেয়েকে হত্যার মৌখিক অভিযোগ করেন। তিনি জানান ১৬ নভেম্বর রাতে জামাতা শাহ আলম তার বাড়িতে এসে জানায় তার মেয়ে খুব অসুস্থ্। এ খবর শুনে রাত ৯টার দিকে তিনি জামাতার সঙ্গে তার বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে মৃত অবস্থায় পান। এ অভিযোগের পর প্রাথমিক তদন্ত শেষে আমতলী থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) মো. লুৎফর রহমান বাদী হয়ে ২০০৫ সালের ৬ মার্চ তিন জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২৭ জুন তিনজনকে আসামি করে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। মোট ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক শেষে রাবেয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।

 রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহ আলম নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

শাহ আলমের বাবা কদম আলী সরদার বলেন, ‘এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা হাই কোর্টে যাব। আমাদের মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে।’