রিফাত হত্যা মামলার আরও এক আসামির আত্মসমর্পণ

রিফাত শরীফবরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি মো. সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ ওরফে মহিবুল্লাহ (১৭) আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। এ নিয়ে তিন দফায় ৬ আসামি আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছে।

সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে দশটায় বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করে। পরে বিচারক মোহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম গাজী তাকে শিশু আদালতে পাঠান। শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে যশোর শিশু কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে রবিবার মামলার ৩ নম্বর অভিযুক্ত আসামি মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৮), ২ নম্বর রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার (১৫) ও ৩ নম্বর অভিযুক্ত আবু আবদুল্লাহ রায়হান (১৬) এবং ১২ নম্বর অভিযুক্ত প্রিন্স মোল্লা (১৫) আদালতে আত্মসমর্পণ করে। তাদের মধ্যে মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাতকে বরগুনা জেলা কারাগারে এবং বাকি তিন জনকে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় যশোর শিশু-কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ২ অক্টোবর অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি মারুফ মল্লিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে।

এখন পর্যন্ত রিফাত হত্যা মামলার ১৫ জন আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে ৬ আসামি স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। এদের মধ্যে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি ও আরিয়ান শ্রাবণ জামিনে আছে।

গত ৩ অক্টোবর বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী এ মামলার পলাতক আট অভিযুক্তের মালামাল জব্দের নির্দেশ দেন। এ মামলার তিন অভিযুক্ত আসামি এখনও পলাতক রয়েছে।

তারা হলো অভিযোগপত্রের ৬ নম্বর আসামি মো. মুসা (২২), মো. নাইম (১৭) ও মো. রাকিবুল হাসান নিয়ামত (১৫)।

গত ১ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ। একই সঙ্গে রিফাত হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকাল সোয়া ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে ওইদিনই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পাঁচ-ছয় জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।